ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: যাত্রীদের নিরাপদ এবং সুখময় যাত্রা প্রদান করতে ভারতীয় রেল একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। কখনও উন্নত প্রযুক্তির সংযুক্তিকরণ তো কখনও আবার ট্রেনের কামরা সংযুক্তিকরণ। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে বন্দেভারতে যাতায়াতের ক্রেজ বেশি। কারণ সেখানে যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল ব্যবস্থা করা হয়। তাই এবার সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে পূর্ব রেল। নিতে আসতে চলেছে এক নয়া চমক।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে যুক্ত হচ্ছে নয়া কোচ
জানা গিয়েছে, আজ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের যাত্রাপথে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে যুক্ত হচ্ছে ভিস্তাডোম কোচ । পূর্বরেল সূত্রে খবর, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে এই ভিস্তাডোম কোচ চালানো হবে । ওই ট্রেনে আপাতত ১৪ কামরার বদলে ১৫ টি কামরা থাকবে। যার মধ্যে একটি ভিস্তা ডোম কোচ, ২টি এক্সিকিউটিভ এসি চেয়ার কার, ১০টি এসি চেয়ার কার এবং ব্রেক, ২টি লাগেজ কাম জেনারেটর কার থাকবে।
এই কোচের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিস্তাডোম কোচগুলিতে থাকবে নানা আকর্ষণীয় ফিচার্স যা যাত্রীদের যাত্রা আরও সুখময় করে তুলবে। এই কোচে থাকছে স্ব-চালিত স্লাইডিং দরজা, একটি গ্লাস ব্যাক, Wi-fi এবং GPS সংযোগের মতো উন্নত সুবিধা। যাত্রীরা তাঁদের যাত্রাজুড়ে অনবোর্ড GPS সিস্টেমের সঙ্গে নির্বিঘ্ন নেভিগেশন উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও বিনোদনের নানা সুযোগ থাকবে, অর্থাৎ যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে বিকল্প বিনোদন প্রদান করা হবে।
কোথায় কোথায় রয়েছে এই পরিষেবা?
জানা গিয়েছে, আরাকুভ্যালি, কালকা থেকে সিমলা, ডুয়ার্স, নাহারলাগুন থেক তিনসুকিয়া, পশ্চিমঘাট পাহাড়ের ভিতর দিয়ে পুনে, গোয়ার পথে, যশবন্তপুর থেকে কর্নাটক উপকূলে ইতিমধ্যেই ভিস্তাডোম কোচ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্মার্ট মিটার লাগানোই হল কাল! ২টি ফ্যান, ৩টি লাইট থাকা দিনমজুরের বিদ্যুতের বিল ৩১ লাখ
এই বিষয়ে পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন যে, ভিস্তাডোম কোচগুলি যাত্রীদের বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা এবং একটি স্মরণীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। আসলে এই কোচের মূল লক্ষ্য হল বিলাসবহুল এবং আরাম এইসবের সমন্বয়ের মাধ্যমে ট্রেন ভ্রমণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা।