ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ভোট মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্যে উপনির্বাচনের দামামা বাজতে চলেছে। আর সেই আবহেই রাজ্যে এবার একের পর এক নয়া পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তার উপর নতুন মাস পড়তে না পড়তে সম্পত্তি কেনা বেচায় স্ট্যাম্প ডিউটি নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার।
কী এই স্ট্যাম্প ডিউটি?
জমি, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এবং জমি বা ফ্ল্যাটের দাম নির্ণয় করা হয় স্ট্যাম্প ডিউটির মাধ্যমে। কোনও এলাকায় জমি বা সম্পত্তি সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম যে দামে নথিভুক্ত হয়, তাকে বলে সার্কল রেট। অর্থাৎ, এই জোড়া ছাড়ের জেরে বাংলায় জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা হলেও কমবে। এতদিন সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল, খরচ বাঁচানোর সুবিধা দিয়ে ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনা এবং নথিভুক্তিতে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ানো। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই বিষয়ে এক বড় পদক্ষেপ নিল। মাথায় হাত পড়ল রাজ্যবাসীর!
স্ট্যাম্প ডিউটি নিয়ে বড় নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের
রাজ্য সরকার এবার সম্পত্তি কেনা বেচায় স্ট্যাম্প ডিউটির ছাড় তুলে নিল। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে গতকাল অর্থাৎ সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় নবান্নের তরফ থেকে। যেখানে বলা হয়েছে ২০২১ সালে জুলাইয়ে কোভিড অতিমারির সময় অর্থনৈতিক অবস্থা সঠিক রাখার জন্য ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা এবার শেষ হল। মাসের শুরুতেই অর্থাৎ ১ জুলাই, অর্থাৎ গতকাল থেকেই এই ছাড় তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এবার থেকে সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় মূল্যের ওপর ৭ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রায় তিন বছর পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই ছাড় তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মসের থেকেও শক্তিশালী! বিশ্বের সবথেকে মারক অস্ত্র বানাল ভারত! ঘাম ছুটবে চিন, পাকিস্তানের
যদিও প্রথম দিকে ২০২১-২২ সালের বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন, বাড়িঘর ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক সুরাহা দিতে রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় এবং জমি বা সম্পত্তির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের উপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সময়সীমা, ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রেতাদের স্বার্থে এই সুবিধা আরও ছ’মাস অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলত সেই সময় স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রেতারা উপকৃত হয়েছিল।