ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে উপনির্বাচনের দামামা কিছু দিন পরেও বাজতে চলেছে। আর সেই ভোট উৎসবের আগেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি পদ নিয়ে উঠে এল এক বড় আপডেট। ফের আরও একবার নির্দিষ্ট কয়েকজন বিচারপতির নামের তালিকা পাঠানো হল সুপ্রিম কোর্টে।
শীর্ষ আদালতে পাঠানো হল বিচারপতির নাম!
দীর্ঘ ছয় বছর পর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি পদের জন্যে ৮ আইনজীবীর নাম অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে পাঠাল এখানকার কলেজিয়াম। শেষ বার হাইকোর্টের পাঠানো আইনজীবীদের ৯টি নামের মধ্যে মাত্র দু’টিতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু সেই দুই নামও এখনও রয়ে গেছে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে অনুমোদিত ৭২টি বিচারপতি পদের মধ্যে এখন মাত্র ২৭টি ফাঁকা। আবার তার মধ্যে আইনজীবী থেকে বিচারপতি পদে যাওয়ার মতো শূন্যপদ ২১টি। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের এমন গড়িমসিতে রীতিমত বিরক্ত হয়ে পড়ছে বর্ষীয়ান আইনজীবীরা।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী থেকে বিচারপতি পদে নিয়োগ নিয়ে নানা রকমের অভিযোগ করে আসছেন আইনজীবীরা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো ন’টি নামের থেকে মাত্র ২টি নাম সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু সেই দুটি নাম বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আইনমন্ত্রকের ঘরে আটকে রয়েছে। এদিকে নিম্ন আদালত থেকে প্রোমোশন পেয়ে বিচারপতি হওয়ার সব পদই প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
হাইকোর্টের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ আইনজীবীদের!
এদিকে নিয়ম মতো, হাইকোর্টে তিন রকম ভাবে বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয়। সেগুলি হল যথাক্রমে লোয়ার জুডিশিয়ারি , হায়ার জুডিশিয়ারি এবং সবশেষে প্রোমোশন পেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে আসা যায়। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হতে পারে ২৪ জনকে। ৭২টির মধ্যে বাকি ৪৮টি পদে বার থেকে সরাসরি আইনজীবীদের নাম সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। আর এই নিয়োগ করে কলেজিয়াম।
আরও পড়ুনঃ ‘৭০ লক্ষ টাকা’ রেশন দুর্নীতি মামলায় মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ঋতুপর্ণা, ED-কে যা বললেন! তুলকালাম
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং সদ্য অবসর নেওয়া বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে গড়া এই তিন সদস্যের কলেজিয়াম প্রাথমিক ভাবে জমা পড়ে ২৫টি নাম। তাঁরা দক্ষতা, যোগ্যতা, পেশা থেকে আয়, আচার-আচরণ, মর্যাদা, সুনাম বিবেচনা করে সেখান থেকে ১৬ জনকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মত প্রথম দফায় ৮ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৮ জনের মধ্যে চূড়ান্ত ছাড়পত্র কারা পাবে, তা নিয়ে বেশ সংশয় এবং কল্পনা চলছে।