ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যে ধর্মান্তরণের ঘটনা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। যার দরুন রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের মনে সম্প্রদায় ভিত্তিক নানা ভয়ংকর আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। এবার এই বিষয়ে বড় মন্তব্য প্রকাশ্যে আনলেন উচ্চ আদালত এর বিচারপতি। উগরে দিলেন ক্ষোভ।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে হামিরপুর জেলার মৌদহ গ্রামের কৈলাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণের অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগে দিল্লিতে একটি ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি নাকি গ্রামের সকলকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এবং সেখানে তিনি নাকি গ্রামের একদল হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করেছেন। যা নিয়ে FIR দায়ের করেন রামকলি প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তি। এমনকি FIR অনুসারে, প্রজাপতির মানসিক অসুস্থ ভাইকেও নাকি টাকাপয়সা দিয়ে ধর্মান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই FIR এর ভিত্তিতে মামলা গড়ায় এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
ধর্মান্তরণের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি!
এরপর অভিযুক্ত কৈলাস নামে ওই ব্যক্তির জামিনের আবেদন করা হলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল সেটি সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন। উল্টে বিচারপতি উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরকরণ আইন ২০২১-এর ধারা ৩/৫ (১) এর অধীনে নথিভুক্ত কৈলাসের জামিন আবেদনের শুনানি করেন। এছাড়াও এই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ধর্মপ্রচারের অর্থ হচ্ছে, নিজ ধর্মকে অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু, অন্য কাউকে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করা নয়। আদালতের মতে, মানুষের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজ চলছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ আদালতের
এছাড়াও আদালত আরও জানিয়েছে যে, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা মোতাবেক ধর্মাচরণের অধিকার লঙ্ঘন করে এই ধরনের কাজ করা হয়েছে। সংবিধানে স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকারে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম, ঈশ্বরের ভজনা, পূজন, সাধনা করতে পারেন। এমনকী শর্তসাপেক্ষভাবে নিজ ধর্মমতের প্রচারও করতে পারেন। কৈলাসের বিরুদ্ধে এ হেন ভয়ংকর অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে জানিয়েছেন, ‘এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে দেওয়া হলে একদিন সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। এবং এই ধরনের ধর্মান্তরকরণ কাজ এই মুহূর্তে বন্ধ করা উচিত।’