পেট্রোল, ডিজেলে ভয়ানক কারচুপি! কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের, গাড়িতে তেল ভরার আগে দশবার ভাবুন

Published on:

calcutta-hc

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ পেট্রোল, ডিজেল মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আসলে এই দুটি জিনিস যদি না থাকে, তাহলে থমকে যাবে জনজীবন। যদিও এখন জ্বালানি তেলের বদলে ব্যাটারি, সৌরশক্তি চালিত গাড়ি এসেছে বাজারে। তবুও পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে এখনও পাল্লা নেওয়ার সময় হয়ে ওঠেনি।

আর এই পেট্রোল, ডিজেল নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা থেকে উঠে এল কারচুপির অভিযোগ। আর সেই নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টও। এ বার যেই অভিযোগ উঠে এসেছে, তা শুনে গাড়িতে তেল ভরার আগে দশবার ভাবতে হবে আপনাকে। আসলে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে রম্রমিয়ে বাড়ছে কাটা তেলের ব্যবসা।

WhatsApp Community Join Now

কী এই কাটা তেল?

তেল পাম্প ছাড়া অস্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোনও দোকানে পেট্রোল, ডিজেল বোতলজাত করে বিক্রি করাকে কাটা তেলের ব্যবসা বলা হয়। তবে শুধু বোতলজাত করেই ক্ষান্ত হননা ব্যবসায়ীরা। সেই তেলে নানান মিশ্রণ মিশিয়ে তেলের গুণ কমিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয়। শুধু দুই মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রামই নয়, বিভিন্ন জেলায় এমন হাজারো দোকান আছে, যেখানে এভাবে তেল বিক্রি করা হয়। আর এই নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল।

হাইকোর্টে এই মামলা ওঠার পর এই তিন জেলার জেলাশাসকদের একটি বিশেষ দল গঠন করে অবিলম্বে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছে। এরপর জেলা শাসকদের এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

পেট্রোল, ডিজেলের রমরমা ব্যবসা

অভিযোগকারী জানিয়েছেন যে, জাতীয় সড়ক হোক বা রাজ্য সড়ক। চারিদিকে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই কাটা তেল। তিনি অভিযোগ করে বলেন যে, পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা একদিকে যেমন নিজেদের পকেট ভরছেন, তেমনই গাড়িরও ক্ষতি করাচ্ছেন। তিনি এও অভিযোগ করেন যে, এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! ভারত-বাংলাদেশ রেল ট্রানজিটে ট্রেন চলবে কবে? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ

এই মামলায় রাজ্যের তরফেও পাল্টা দাবি করা হয়। রাজ্যের তরফে বলা হয়, যেসব এলাকায় দূর দূরান্তে পেট্রোল পাম্প নেই, সেখানেই স্থানীয়রা বোতলে করে জ্বালানি বিক্রি করে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই না। যদিও মামলাকারী এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলতে নারাজ। তিনি জানান যে, জেলার প্রায় সর্বত্রই এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। তাই এটি বন্ধ করা হোক।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন