ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মোদি সরকার দিল্লির মসনদে বসার পর থেকেই দেশবাসীর স্বার্থের কথা ভেবে একের পর এক প্রকল্প চালু করে চলেছে। তেমনই এক অন্যতম প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। দেশের দরিদ্র গৃহহীনদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত উপভোক্তাদের। অবশ্যই উপভক্তাদের আর্থিক অবস্থা যাচাই ও বিচার করে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি এই আবাস যোজনার টাকা ঘিরে তৈরি হল এক উত্তাল পরিস্থিতি।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকার কারচুপি!
সূত্রের খবর সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় ২,৩৫০ জন আবেদনকারীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল থুঠিবাড়ি, শীতলাপুর, রামনগর, মেধৌল-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এবার সেই ৪০ হাজার টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয় উঠে এল এক ভয়ংকর অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের তীর এবার উত্তরপ্রদেশের ১১ জন গৃহবধূর।
ভয়ংকর অভিযোগ উঠল গৃহবধূদের বিরুদ্ধে!
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পাওয়া প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরে তা হাতিয়ে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন কমপক্ষে ১১ জন বধূ। তাই আবার সেই টাকা নিয়ে সকলেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে ওই গৃহবধূদের স্বামীরাই। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্প রূপায়ণে কোনও রকম দুর্নীতি পাওয়া গেলেই প্রশাসন বরাদ্দ করা টাকা ফেরৎ নিয়ে নেবে। তাই ইতিমধ্যে পরের কিস্তির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে মুখে হাসি সবার
প্রসঙ্গত, যোগী রাজ্যে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও আবাস যোজনার টাকা নিয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। টাকা হাতিয়ে সময় নষ্ট না করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন অনেক গৃহবধূ। উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলা থেকেও একই রকম অভিযোগ সামনে এসেছিল। তবে বিষয়টি জানতে পেরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এলাকার স্থানীয় প্রশাসন।