ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের একেবারে শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার সকল OMR শিট খুঁজতে একেবারে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সন্দেহজনক এলাকাগুলিতে। এদিকে বিচারপতিকে হার্ডডিস্কে বা অরিজিনাল সার্ভারে OMR শিটের ডিজিটাল কপি দেখাতে ব্যর্থ CBI। সেটা জানার পরেই বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, TCS বা Wipro-র মতো ভারতের প্রথম সারির কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অথবা বিশ্বের প্রথম সারির যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করে কোন হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে ডিজিটাল OMR শিটের ডিজিটাল কপি রাখা হয়েছিল, সেটা বের করতে। এদিকে এই আবহে ফের খবরের শিরোনামে মানিক ভট্টাচার্য।
টানা দু’বছর জেলবন্দি মানিক!
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ED- র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। দেখতে দেখতে প্রায় টানা দুই বছর তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিকও গ্রেফতার হয়েছিল এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে পরে আদালত স্ত্রী এবং পুত্রকে জামিনে মুক্তি দিলেও এখনও জেলবন্দি রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এর আগে বহুবার জামিন চাইতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারেবারে সেই আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গতকাল প্রাথমিকের OMR শিট প্রসঙ্গে এক ভয়ংকর দাবি তোলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যা রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায়।
ফের ভয়ংকর অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে!
প্রাথমিকের OMR নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল এর আগেই এবং সেই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতির মামলাও উঠেছিল হাইকোর্টে। আর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে উঠে আসে ওই মামলা। এই আবহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, OMR শিট নষ্ট হয়েছে। পর্ষদের বোর্ড সদস্যদের কোনও পরামর্শ ছাড়াই এটা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেআইনি হওয়া সত্বেও OMR শিট নষ্ট করা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের অনুমোদনে। তিনি নিজে এই কাজ করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী আরও জানান, মানিক ভট্টাচার্য বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। তাই এটা যখন করেছেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জানানো হয়নি।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, এবার খেল দেখাবে নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নিয়ে চলে এল পাকা খবর
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এ হেন অভিযোগ শুনে রীতিমত বিস্মিত হয়ে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সময়ের আসল ‘মিটিং রেজিলিউশন’ কপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও পর্ষদের আইনজীবীর দাবি, বোর্ড কোনও রেজিলিউশন সেই সময় নেয়নি। তবে নাছোরবান্দা আদালত। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। অন্যদিকে OMR শিট উদ্ধারে কলকাতার সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকায় একটি জনপ্রিয় সংস্থায় হানা দেয় CBI।