ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের নজির তুলে ধরে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষণযুক্ত প্রতিভা মণ্ডল-সহ একাধিক পরীক্ষার্থী। তাঁদের যুক্তি ছিল, টেট ২০১৪-র প্রশ্নপত্রে অনেক ভুল রয়েছে। প্রায় ১০-১১ টি ভুল। আর সেই ভুলের প্রেক্ষিতে নম্বর দাবি করেন মামলাকারীরা। সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনা করতে বলেছিলেন যে সেই ১০-১১ টি প্রশ্ন ভুল কি না। বিশ্বভারতী জানায়, সেই প্রশ্নগুলির মধ্যে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল। এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
প্রাপ্য বেতন আদায়ে হাইকোর্টে ফের মামলা
কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মামলাকারিদের মধ্যে কয়েকজনকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি দিলেও কয়েকজন শিক্ষক ২০১৭ সাল থেকে চাকরির প্রাপ্য সুবিধা পাচ্ছেন না। যার দরুন এবার সেই বিষয়ে মামলা উঠল ফের হাইকোর্টে। মামলাকারী অনিমেষ কর্মকার এই মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৈকত সূত্রধর এদিন বিচারপতি মান্থাকে জানান যে, ২০১৪ সালের টেট-এ ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকার জন্য অনেকেই পাশ করতে পারেননি। পরে সেই ছ’টি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর পেয়ে পাশ করে হাই কোর্টের নির্দেশেই ইন্টারভিউ পাশ করে ২০২২ সালে চাকরিতে নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাপ্য বেতন প্রসঙ্গে বড় নির্দেশ বিচারপতি
এছাড়াও তাঁরা বলেন, কিন্তু রাজ্যের ভুলে দেরিতে চাকরিতে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও ২০১৭ সাল থেকে চাকরির প্রাপ্য সুবিধা পাচ্ছিলেন না অনিমেষ। এ দিন সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি মান্থা এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ‘সরকারের ভুলে চাকরিতে যোগ দিতে দেরি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সিনিয়রিটি এবং বেতনের বর্ধিত হার অর্থাৎ ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’
আরও পড়ুনঃ রইবে না কোনও সমস্যা, শিয়ালদা লাইনের যাত্রীদের জন্য আরেকটি বিশাল পদক্ষেপ পূর্ব রেলের
এছাড়াও বিচারপতি মান্থা জানান, ২০১৭ সাল থেকে মামলাকারীকে সিনিয়রিটি এবং ইনক্রিমেন্ট ধার্য করতে হবে। এবং ২০২২ সালের যে ইনক্রিমেন্ট, তা এরিয়ার হিসেবে হাতে পাবেন তিনি।