আম্বানির মতো ১৫০০০ কোটির অ্যান্টিলিয়ায় নয়, টাটা থাকেন সাধারণ বাড়িতে! কী কী আছে জানেন?

Published on:

ratan tata house

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশে যে সকল ব্যবসায়ী- শিল্পপতিরা রয়েছেন তাঁরা বরাবরই গোটা জেনারেশনের কাছে আলোচনার শিরোনামে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা, আনন্দ মাহিন্দ্রা, গৌতম আদানির মতো নাম। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন দশম স্থানে। অন্যদিকে রতন টাটা বিপুল সম্পত্তির মালিক না হলেও কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জিতে আসছেন তিনি। তাই বলতে গেলে এরা প্রত্যেকেই ভারতের গর্ব।

সম্প্রতি মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির বাড়িতে চলছে বিবাহ উৎসব। একপ্রকার মহোৎসবই বলা যায়। প্রায় তিন মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে বিয়ের উদ্‌যাপন। কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যে রাজকীয় আয়োজন করেছেন মুকেশ-নীতা, তা দেখে গোটা দেশের চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার চার হাত এক হয়েছে অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের। প্রায় উজাড় হয়ে এসেছিল বলিউড। হলিউডের নামকরা তারকারাও ভিড়় জমিয়েছিলেন। বাদ যায়নি নেতা-মন্ত্রীরাও। তাইতো বিয়ের মরশুমে পুরো আম্বানি অট্টালিকা অ্যান্টিলিয়াও বেশ সেজে উঠেছিল।

WhatsApp Community Join Now

মুকেশ আম্বানির অট্টালিকা

ভারতের সবচেয়ে দামি সম্পত্তির প্রসঙ্গ উঠে আসলে প্রথমেই উঠে আসে আম্বানি অট্টালিকা অ্যান্টিলিয়া। যেটি কিনা মুম্বইয়ে অবস্থিত। ৪ লক্ষ বর্গফুটের উপরে তৈরি ২৭ তলার এই বাড়ির দাম ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ইনফিনিটি সুইমিং পুল থেকে হেলিপ্যাড-সবই আছে। মুম্বইয়ের অ্যান্টিলিয়াড়াও লন্ডনের স্টোকস পার্কে মুকেশ আম্বানির একটি সম্পত্তি রয়েছে। পাশাপাশি, মুকেশ আম্বানি দুবাইতেও একটি বাড়ি কিনেছেন। তবে এসবের মাঝে জানেন কি কোথায় রয়েছে আরেক দয়ালু শিল্পপতি রতন টাটার বাড়ি?

রতন টাটার অট্টালিকা

জানা যায় শিল্পপতি রতন টাটা ব্যক্তিগত জীবনে যেমন খুব সাদামাটা, ঠিক তেমনই তাঁর বাড়িটিও বেশ সাধারণ শৈলীতে তৈরি। আসবাবপত্রে বিশেষ কোনও চাকচিক্য নেই। একেবারে সম্পূর্ণ সাদা রঙের এই বাড়িটি অবস্থিত মুম্বইতে। নাম বখতাওয়ার। বাড়িতে যাতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক আসে, তার জন্য বড় জানালার তৈরি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা বসার ঘর থেকে বেডরুম পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মুম্বইতে মাত্র ১৩,৩৫০ বর্গফুট এলাকার উপরে তিনটি তল নিয়ে তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১০ থেকে ১৫টি গাড়ির জন্য পার্কিং স্পেসও রয়েছে। আসলে প্রায় তিন দশক ধরে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ভার সামলানোর পর অবসর জীবনে সময় কাটাতে এই বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন