ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্তমানে কাস্ট সার্টিফিকেট হল একটি অতি প্রয়োজনীয় নথি বা তথ্য। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা মেলে। স্কুলের স্কলারশিপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পতে এই নথির প্রয়োজন হয় বেশি। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রেও এই সার্টিফিকেটের দরকার। কাস্ট সার্টিফিকেট তিন ধরণের হয়। SC/ST এবং OBC সার্টিফিকেট। বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যে হাজার হাজার OBC শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। আর এই আবহেই এবার আরেক ব্যক্তির কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে উঠে এল ভয়ংকর তথ্য।
ঘটনাটি কী?
রাজস্থানবাসী এক ব্যক্তি রাজস্থান থেকে ছত্তিসগড়ে এসে বসবাস শুরু করে। এবং তিনি সেখানে তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দাবি করেন। কিন্তু সমস্যা হয় সেখানেই। তিনি আসলে নায়েক সম্প্রদায়ভুক্ত। কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই সম্প্রদায় ছত্তিসগড়ে তপশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত নয়। এবং এই ব্যাপার নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। আর তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় সেই ব্যক্তি ভুয়ো নথি জমা দিয়ে জাতি শংসাপত্র পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অন্যদিকে কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটির সেই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের কাছে মামলা ঠোকে সেই ব্যক্তি। আর সেই মামলা খারিজ করে দেয় ছত্তিসগড় হাইকোর্ট। বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার ব্যাস স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘কোনও একটি রাজ্যে কোনও জাতি স্বীকৃতি নির্ভর করে সেই নির্দিষ্ট রাজ্যের আর্থসামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থানের ওপর। কিন্তু অন্য কোনো রাজ্যে অন্য কোনও জাতি স্বীকৃতি পাবে কি না তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সেই রাজ্যে তাঁদের পশ্চাদপদতা একই রকম আছে কি না তার ওপর।’
আরও পড়ুনঃ রেশন নিয়ে বড় সমস্যার সমাধান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পদক্ষেপ বিরাট উপকৃত হবেন আপনিও
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে বৈধ থাকবে না জাতি শংসাপত্র। অর্থাৎ কোনও একটি জাতি একটি রাজ্যে পশ্চাদপদ হলে অন্য রাজ্যেও সেই জাতি পশ্চাদপদ রয়েছে এমনটা ধরে নেওয়া যায় না। এমনকি ২টি রাজ্যেই তারা তপশিলি উপজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত থাকলেও শংসাপত্রের বৈধতা হারাবে।