ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রথমবার নয়, এর আগে অনেকবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল DRDO। কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোনও সমস্যা সামনে উঠে এসেছে। তবে মিসাইল পরীক্ষার খবরে চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা। বিশেষত যাঁরা সমুদ্রে নৌকা নিয়ে মাছ ধরেন এবং তা শুটকি মাছে পরিণত করে বাজারজাত করেন, তাঁদের বেশি সমস্যা হতে পারে। সমুদ্রের উপর নির্ভর করেই যেহেতু তাঁদের দিনযাপন। সম্প্রতি ফের এই উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাও আবার তৃণমূলের শ্রমিক নেতার মদতে।
সূত্রের খবর, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশান বা DRDO- র পরীক্ষার জন্য আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে দিঘার মৎস্যজীবীদের। আসলে ওই ৬ দিন জুনপুট থেকে মিশাইল উৎক্ষেপণের ফ্লাইট ট্রায়ালের জন্য এই দিনগুলিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে DRDO ও মৎস্য দফতরের তরফে। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা। আর এই আবহে DRDO- র ঘোষণার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মৎস্যজীবীরা। আর সেই সুযোগে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় সেখানকার স্থানীয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র রাজ্য সম্পাদক আমিন সোহেল।
জুনপুটে লঞ্চিং প্যাড এলাকায় মৎস্যজীবীদের তাণ্ডব
তিনি সেখানকার মৎস্যজীবীদের DRDO-র বিজ্ঞপ্তির বিপক্ষে প্রতিবাদ করার নেতৃত্ব দেন। যার ফলে মৎস্যজীবীরা জুনপুটে লঞ্চিং প্যাড এলাকায় জোটবদ্ধ হয়। সেখানে তখন কলকাতার এক ঠিকাদারি সংস্থা টিন দিয়ে ঘিরে দিচ্ছিল গোটা এলাকা। কাজ যখন সম্পূর্ণ হয়েছে তখনই আমিনের নেতৃত্বে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সেখানে গিয়ে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের কাজ বন্ধ করতে বলার হুমকি দেয়। পরে দেখা যায় ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা জুনপুট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এখন সেই লঞ্চপ্যাডের নিরাপত্তার দায়িত্বে এসেছে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা।
ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ
কিন্তু এদিকে জুনপুটে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা আমিন। এবং তিনি বলেন, কয়েকটি মৎস্যজীবী সংগঠন, পরিবেশপ্রেমী এবং বিজ্ঞান কর্মীরা অরাজনৈতিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্রণ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কারণে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন মাত্র। এই প্রসঙ্গে কাঁথি ১-এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস জানান, ‘DRDO মৌখিক ভাবে জানিয়ে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রেখেছে।’ কেন্দ্রের কাজের ক্ষেত্রে এইরূপ বাঁধাপ্রদান করাকে নিয়ে কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী NIA তদন্তের দাবি তুলেছেন।