ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে ততই পাকিস্তানের হাল বেহাল হয়ে পড়ছে। অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছে না সেই দেশ। আটা, গমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দিনের পর দিন যেন বেড়েই চলেছে। শিক্ষা তো দূর, পেটে পড়ছে না কোনো খাবার। চিনের কাছে এতদিন ধরে যে ঋণ পেয়ে আসছে, তার ভারে রীতিমত চাপা পড়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তানের নাগরিকদের একখানা রুটিও জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের!
সূত্রের খবর, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন আটা, তেলের দাম যেমন দিনের পর দিন আকাশ ছুঁয়েছে তেমনই প্রতি কেজি আটার দাম হয়েছে ৮০০ টাকা, তেলের দাম হয়েছে ৯০০ টাকা। অর্থাৎ সবমিলিয়ে পাকিস্তানিদের একটি রুটির জন্য খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ২৫ টাকা। দেশের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। খাবারের পাশাপাশি বাসস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষাও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ওদিকে বাংলায় মা ক্যান্টিনে ৫ টাকায় একবেলা পেট ভরে খেতে পারবেন। তাহলে এটাই দাঁড়ায় যে, পাকিস্তানের একটা রুটির দামে বাংলায় ৫ বেলা খাবার।
কেন এমন আর্থিক সংকট?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানর বিপুল ঋণর বোঝা। ঋণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। সেই শর্তের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জিনিসের দাম অস্বাভাবিভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিরক্ষা বাজেট ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেবের জানিয়েছেন, পাকিস্তানে GDP ৩.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে অন্য হিসাব। তাঁরা মনে করছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হতে পারে মাত্র ২.৩৮ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ বাংলার একমাত্র স্টেশন, যেখানে ৭টি প্ল্যাটফর্ম থেকে সাতটি ভিন্ন জংশনে যায় ট্রেন
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। কারণ গত দু’বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জন্য বারে বারে ধাক্কা খেতে হয়েছে সেই দেশের মানুষদের। একেবারে নাকানি চুবানি খাচ্ছে পাক নাগরিকদের একাংশ। এক টুকরো খাবার নিয়ে রীতিমত সে দেশের মানুষকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারপিটও করতে দেখা গিয়েছে একাধিক বার।