ইডির তল্লাশিতে র‍্যাপিডো ড্রাইভারের অ্যাকাউন্টে মিলল ৩৩১ কোটি টাকা

ED Raid on Rapido Driver

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার খপ্পরে পড়ল র‍্যাপিডোর এক বাইক আরোহী (ED Raid on Rapido Driver), যার অ্যাকাউন্টে মিলেছে ৩৩১ কোটি টাকার হদিশ। জানা যায়, অ্যাপ-ভিত্তিক অ্যাগ্রিগেটর র‍্যাপিডোর ওই বাইক-ট্যাক্সি চালকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের খবর পেয়েছিল ইডি। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ৮ মাসে চালকের অ্যাকাউন্টে নাকি ৩৩১ কোটি টাকার বেশি জমা হয়েছে।

অ্যাকাউন্টে মিলল ৩৩১ কোটি টাকা

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৯ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ এর মধ্যে ওই বাইক-ট্যাক্সি ড্রাইভারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩৩১.৩৬ কোটি টাকা জমা হয়েছিল। আর এই বিরাট পরিমাণ অর্থের উৎস খুঁজে ইডি ব্যাঙ্ক রেকর্ডে দেখানো ঠিকানায় তল্লাশি চালায়। আর সেখানে গিয়ে জানতে পারে যে, অ্যাকাউন্টটি যার নামে ছিল তিনি আসলে দিল্লির এক সাধারণ কলোনিতে থাকেন এবং দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য সারাদিন বাইক-ট্যাক্সি চালিয়ে বেড়ান।

তবে সবথেকে মজার ব্যাপার, এই অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া অর্থের ১ কোটি টাকার বেশি খরচ করা হয়েছে উদয়পুরের একটি বিলাসবহুল হোটেল এবং এবং বিলাসবহুল ওয়েডিং-এ। আর এই বিয়ের সাথে গুজরাটের এক তরুণ রাজনীতিবিদের যোগসূত্র রয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী খবর। এমনকি তাকেও খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। তদন্তের সময় র‍্যাপিডোর ওই চালক ইডি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে, তিনি এই লেনদেন সম্পর্কে কোনও কিছুই জানেন না, এবং তিনি বর-কনে বা তাদের পরিবারের কাউকে চেনেন না।

আরও পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে শুরু করেন সাইকেলের ব্যবসা, আজ ভারতের টেলিকম জায়েন্ট!

এদিকে ইডি কর্মকর্তারা মনে করছেন যে, র‍্যাপিডোর চালকের অ্যাকাউন্টটি কোনও ভুয়ো প্রতারণা চক্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। জাল কেওয়াইসির মাধ্যমেই এই প্রতারণা করা হয়েছে। এমনকি তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি অজানা উৎস থেকে এই অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে অর্থ জমা করা হয়েছিল এবং তাৎক্ষণিকভাবেই অন্যান্য সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টে তা স্থানান্তর করা হয়। তবে সেই টাকার উৎস সম্পূর্ণ অবৈধ। উল্লেখ্য, এরকমই অবৈধ বাজির মামলায় শিখর ধাওয়ান এবং সুরেশ রায়নার মতো ক্রিকেটারদের উপরেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আর তাঁদেরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

Leave a Comment