ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রাণীপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে লোভনীয় জায়গা হল আলিপুর চিড়িয়াখানা। হালকা শীতের মরশুম পড়তে না পড়তেই বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী থেকে শুরু করে বাঘ, সিংহ দেখতে সকলেই ছুটে আসে চিড়িয়াখানায়। এত বেশি ভিড় হয় যে, ওই এলাকায় পা গলানো জায়গা থাকে না। এমনকি চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য লম্বা লাইন দিতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি আলিপুর চিড়িয়াখানা নিয়ে উঠে এল এক বড় আপডেট।
সূত্রের খবর সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলিপুর চিড়িয়াখানার আড়াইশ কাঠা জমি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য নিলাম করে দিতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গত ৯ জুলাই জমি পরিদর্শনে গিয়েছে কলকাতা পুরসভা, বন দফতর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ও পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি। জানা যায়, চিড়িয়াখানার যে জমিটি নিলামের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি ৩৪এ বেলভেডিয়ার রোডে অবস্থিত। তার আয়তন ২৫৪ কাঠা তথা ১,৮২,৮৮০ স্কোয়ার ফুট।
যৌথ পরিদর্শনে উঠে এল একের পর এক তথ্য!
এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার যৌথ পরিদর্শনের পর স্থির হয়েছে যে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ওই জমি খণ্ডে নতুন করে প্ল্যান করা হবে। পুরো জমিটার জন্যই ই-অকশন তথা নিলাম করবে হিডকো। এবং সাধারণ মানুষের আমোদ ও সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে আগ্রহ বাড়াতে নতুন করে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি করা হবে। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, শহরের মধ্যে যেখানে চিড়িয়াখানা রয়েছে সেখানে জমির দাম সোনার দামের বেশি।
তাই চিড়িয়াখানাকে অনেক আগেই কলকাতার বাইরে স্থানান্তরিত করার কথা উঠেছিল। কারণ শহরের উপর চাপ বাড়ছে, তাই সেই চাপ কমাতে আরও আধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই সকল পরিস্থিতির মাধ্যমে আন্দাজ করা হচ্ছে যে চিড়িয়াখানার কর্মীদের কোয়ার্টার ছাড়া বাকি জমিটা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। এছাড়াও এই জমিতে প্রস্তাবিত অ্যাকোরিয়ামটিও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হতে চলেছে।
কেন জমি নিলামের পদক্ষেপ নিল সরকার?
পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা পুর আইন ১৯৮০-র ৩৭ নম্বর ধারা মোতাবেক এই প্রস্তাব অনুমোদন করে দিয়েছে। কিন্তু এসবের মাঝেই প্রশ্ন উঠছে কেন রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি চিড়িয়াখানার এই জমি নিলামের পথে হাঁটছে। আসলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে সরকারের রাজকোষে অর্থাভাব দেখা গিয়েছে। তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে বহুমূল্যবান জমির সঠিক ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে সরকার কিছু রাজস্ব আয় করতেও চাইছে। যার মধ্যে অন্যতম হল আলিপুর চিড়িয়াখানার জমি।