ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কথায় আছে রক্ষকই ভক্ষক। আসলে রাজ্যে এমন কিছু ঘটনা ইদানিং খুব ঘটতে দেখা যায় যে থানার লকআপে পুলিশ ধৃতদের এতটাই মারধর করে যে ধৃতের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ধৃতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অথবা জেলা আদালতে মামলা করে। এছাড়াও কখনও দাদাগিরি, কখনও তোলাবাজির মতো অভিযোগ উঠলেও হাত-পা বাঁধা থাকে সাধারণ মানুষের। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়। তাই হাইকোর্টে এই ধরনের মামলার ভুরি ভুরি জমা হয়ে রয়েছে। সেই আবহে এবার তাই বড় পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
পুলিশের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছেন। এবং সেই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টেট পুলিশ কমপ্লেনটস অথরিটি’। জানা গিয়েছে, এই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এখন থেকে রাজ্যের সকল সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে এই কমিটির কাছে দায়ের করতে পারবেন।
পুলিশের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ মমতা!
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে জেলা একাধিক থানার একাংশ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠে এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। সাধারণ মানুষের রক্ষক হয়েও যে তোলাবাজি, দাদাগিরি ঘটনা উঠে আসে তখন সেই রক্ষক ধীরে ধীরে ভক্ষককে পরিণত হয়। এমনটাই দাবি করেন তিনি। তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য হলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আলিপুর চিড়িয়াখানার ২৫০ কাঠা জমি বেচবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, হবে নিলাম
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে প্রকাশ সিং মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ দেয়। তারমধ্যে প্রতিটি রাজ্য ও তার জেলাগুলিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ করার জন্য কমিটি গড়ার সুপারিশ করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থানাগুলিতে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এবার তাই রাজ্য সরকার কমিটি গঠনের পথে হাঁটতে শুরু করছে।