ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত কয়দিন ধরে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে দফায় দফায় হিংসা ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। এই আবহে জানা গিয়েছে গত ১৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা সহ বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গত শুক্রবার মাঝরাতে বাংলাদেশে যে কারফিউ জারি করা হয়েছে তার মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে বেলা ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কাফু কিছুটা শিথিল থাকবে।
কম দামে চাঁদপুরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!
এদিকে বাংলাদেশে চলমান কারফিউতে প্রভাব পড়েছে চাঁদপুরের ইলিশের পাইকারি আড়ৎ বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যানবাহন শিথিল হয়ে পড়ায় গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। এদিকে সাগরে ইলিশ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল অর্থাৎ বুধবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেড়েছে ইলিশের আমদানি। প্রতিদিন দেড়শ থেকে প্রায় ২০০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় ইলিশের দাম কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। যার দরুন লোকসানের মুখে পড়েছেন বেশ কিছু ছোট ব্যবসায়ী। কিন্তু উল্টো চিত্র ক্রেতাদের। তুলনামূলক কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে বেশ খুশি তাঁরা।
বাজারে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ?
বর্তমানে বাংলাদেশের চাঁদপুরে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায় টাকায়, যা ১০ দিন আগেও বাজারে বিক্রি হয়েছিল ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায়। তাছাড়া সাতশো আটশো গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং ছোট ইলিশ ৮০০-৮৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ কেজিতে দুইশো থেকে তিনশো টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে না পারায় বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে দাম কমেছে ইলিশের, বিক্রি করতে না পারায় অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবে বরাত জানিয়েছেন, বর্তমানে ঘাটে তিনশো-সাড়ে তিনশো মণ ইলিশ আসছে। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আসতে না পারায় মাছের বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। তবুও বিক্রি হচ্ছে কম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এদিকে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মঙ্গলবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে বলা হয়েছে সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।