ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরেই ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল OMR শিট নিয়ে একের পর এক শুনানি হয়েই চলেছে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই মামলার সঠিক সুরাহা মিলছে না। প্রথম দিন থেকেই OMR শিট সংক্রান্ত এই মামলায় CBI এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি যখন প্রধান বিচারপতির পদ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন তখন সেই মামলা বিচারপতি মান্থার কাছে চলে যায়।
এদিকে CBI এর এই মামলা সংক্রান্ত পেশ করা রিপোর্টে একদমই সন্তুষ্ট নন বিচারপতি। তিনি CBI কে হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে সেভ করা OMR শিটের ডিজিটাল কপির রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির OMR সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় CBI জানায়, বিচারপতি মান্থা যে তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন, সেটা CBI এর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিচারপতি সেই সময় এই তথ্য উদ্ধারকার্যে বিদেশি সংস্থার সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং সেই শুনানিতে স্পষ্ট এও বলে দিয়েছিলেন যে যাবতীয় খরচ রাজ্য সরকার কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বহন করবে। কিন্তু সম্প্রতি সেই ব্যাপারে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
CBI তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরমুহুর্তেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ও পর্ষদের অফিস থেকে প্রচুর সার্ভার ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় পর্ষদ থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছিল গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর তাতেই রয়েছে ডিজিটালাইজড মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ তালিকা। সেগুলিকে তাই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর হয়। কিন্তু সেখানেই বাঁধল গোলযোগ। সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে পর্ষদের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নিজাম প্যালেসে চিঠি পর্ষদের
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, তদন্তের এই খরচ বহন করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদি দরকার হয় তাহলে তাঁরা এই একই কথা প্রয়োজনে হাইকোর্টকে জানাবে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে কোন সংস্থাকে দিয়ে OMR শিটের ডিজিট্যাল কপি ও তথ্য উদ্ধার করানো হবে। এবং তাতে কত খরচ পড়তে পারে কিছুই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু এদিকে তার আগেই পর্ষদের তরফ থেকে এরকম একটি চিঠি আসায় তদন্তের দিক নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আরও পড়ুনঃ আলিপুর চিড়িয়াখানার ২৫০ কাঠা জমি বেচবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, হবে নিলাম
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে হাইকোর্টে প্রথমে জানানো হয়েছিল যে OMR শিট মূল্যায়নের কাজ প্রথমে দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। ওই সংস্থাই স্ক্যান করে OMR শিটের ডিজিটাল ভার্সন সংরক্ষণ করে রেখেছিল বলে দাবি করেছিল পর্ষদ। কিন্তু ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার OMR শিট এর হার্ড কপি পুরোটাই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।