বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে (India-Myanmar Border) চলল গোলাগুলি। শুক্রবার দুষ্কৃতিদের গুলিতে গুরুতর আহত হলেন অসম রাইফেলসের চারজন ভারতীয় জওয়ান। ঘটনাস্থল, মণিপুরের টেংনোপাল জেলার ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। সূত্রের খবর, আহত ভারতীয় জওয়ানদের অবস্থা আশঙ্কাজক। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগ।
বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক
ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত জওয়ানদের নিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল টেংনুপাল জেলার ভারত মিয়ানমার সীমান্তের কাছেই টহল দিচ্ছিলেন অসম রাইফেলসের সদস্যরা। ঠিক সেই সময়ে, ভারতীয় জাওয়ানদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। আর সেই হামলাতেই গুরুতরভাবে আহত হন চারজন।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, টেংনুপাল জেলার সাইবল গ্রামের কাছে 87 নম্বর বর্ডার পিলারের পাশেই ঘটে হামলার ঘটনাটি। এরপরই তড়িঘড়ি অসম রাইফেলসের আহত চার জাওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে সেই সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। যদিও চিকিৎসক সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক!
অবশ্যই পড়ুন: “কমিশনের বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর!” বিস্ফোরক অভিষেক
পাল্টা হামলা চালায় ভারতীয় সেনাও
দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় মুখ খুলেছেন কর্তব্যরত অসম রাইফেলসের একজন আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিদের তরফে গুলি চালানো হলে পাল্টা আক্রমণ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। মূলত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পাল্টা গুলি চালানো হয়েছিল ভারতীয় জওয়ানদের তরফে। বর্তমানে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যদিও হামলাকারীদের এখনও বাগে আনতে পারেনি ভারতীয় সেনা। তবে সূত্রের খবর, দুষ্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন।