ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এর আগে অনেকেই এই নিয়োগ পদ্ধতিকে ঘিরে মামলা করেছিলেন। সেই মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি সিংহের এজলাসে।
ফের হাইকোর্টের তোপের মুখে পর্ষদ
সেই সময় বিচারপতি সিংহ জানতে চান, ‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য এবং কারা চাকরি পেলেন, তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব। তাই নিয়োগ যখন হয়েছে, প্যানেল তো থাকবেই। সেই প্যানেলই আদালত দেখতে চায়।’ পাশাপাশি বিচারপতি জানান সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ জুলাই ধার্য করা হয়েছে। তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ২০১৪ সালের টেটের ৪২ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে এই আবহে পর্ষদের বিরুদ্ধে আরও এক ভয়ংকর অভিযোগ নিয়ে ফের মামলা ওঠে হাইকোর্টে।
মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর গণনায় ভুল!
সম্প্রতি ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। জানা যায় এই মামলা দায়ের করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা আজম মহম্মদ মোল্লা। তিনি ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় এক জন প্রার্থী। এদিন তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর গণনায় ভুল করেছে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ। তাই তাঁর মক্কেলের মতো অনেকেই এই কারণে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকের চাকরি পাননি। সম্পূর্ণ অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিংহ পর্ষদের কাছে এই অনিয়মের ব্যাখ্যা চান। এবং জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ৮ অগাস্টেই এই মামলাটির শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেবার ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সেইসময় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য B.Ed ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না।