সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাঁকুড়ার পর এবার ঝাড়গ্রাম। সুদূর আমাজনের জঙ্গলে পাওয়া যাওয়া সেই মাংসাশী উদ্ভিদের দেখা মিলল এবার ঝাড়গ্রামেও (Sundews in Jhargram Jungle)। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। সাঁকরাইলের জঙ্গল এলাকায় এহেন মাংসাশী উদ্ভিদ মিলতেই প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কীভাবে এবং কোথা থেকে এর উৎপন্ন হল, কেউ ঠাউর করে উঠতে পারছেন না। যাইহোক, আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
এবার ঝাড়গ্রামে মিলল আমাজনের মাংসাশী উদ্ভিদ!
ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বহু মানুষ সাঁকরাইলের জঙ্গল এলাকায় পাওয়া যাওয়া এই মাংসাশী উদ্ভিদের ছবি, ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের। ছোট এবং লাল রঙের এই অদ্ভুত রকমের উদ্ভিদ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কেউ বুঝতে পারছেন না কীভাবে একটি বিদেশী উদ্ভিত বাংলার এই জঙ্গলমহল এলাকায় তৈরি হল।
আরও পড়ুনঃ অস্তিত্ব হারাবে দেশের ৬টি সরকারি ব্যাঙ্ক! তৈরি হবে একটি, বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র
কয়েকদিন আগে বাঁকুড়াতেও দেখা মিলেছিল ‘সূর্য শিশির’ উদ্ভিদের। অ্যামাজনের জঙ্গলে পাওয়া যাওয়া এই মাংসাশী উদ্ভিদের বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের কুন্দুলিয়া বিটের বনমাধবপুর মৌজার আমলাবাদ গ্রামের জঙ্গলে দেখা মিলেছিল।
পোকামাকড় খায় এই উদ্ভিদ
উল্লেখ্য, গত বছর বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলেও এই একই ধরণের মাংসাশী উদ্ভিদের দেখা মিলেছিল। বহু বছর ধরেই কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এর অস্তিত্ব রয়েছে। এই উদ্ভিদের ডগায় রয়েছে আঠালো রস, যেখানে সূর্যের আলো পড়লে চকচক করে ওঠে। আর এটিই পোকামাকড়কে আকর্ষণ করে। এরপর এতে ওই পোকামাকড় এসে বসলে আঠার জেরে আর উঠতে পারে না। ফলে এই উদ্ভিদকে মাংসাশী বলা হয়।