টিকিট কেটে ট্রেনে উঠলেই মিলছে রসগোল্লা, পান্তুয়া! বিশেষ উদ্যোগ বাংলার এই লাইনে

Train

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ রেল যাত্রীদের জন্য রইল একদম লোভনীয় খবর। এবার ট্রেনে (Train) পা রাখলেই খেতে মিলবে সকলের প্রিয় মিষ্টি রসগোল্লা, পান্তুয়া। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি স্টেশনের দৃশ্যটা একটু অন্যরকম ছিল। বেশ কিছু মানুষ হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করছেন, টিকিট কেটে উঠেছেন? উত্তর হ্যাঁ হলেও দেওয়া হচ্ছে শীতের নলেন গুড়ের রসগোল্লা এবং পান্তুয়া।

ট্রেনের টিকিট কাটলেই মিলছে রসগোন্না, পান্তুয়া

রিপোর্ট অনুযায়ী, আহমদপুর কাটোয়া জ্ঞানদাস রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক কথায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে টিকিট কাটুন আর ট্রেনে চাপুন। যার বদলে মিলবে রসগোন্না ও পান্তুয়া। আসলে এটি একটি প্রচার, যা হল সাধারণ মানুষ ট্রেনে টিকিট কেটে তবেই যেন ওঠেন। বারবার রেলের তরফে প্রচার চালানো হলেও এখনও এমন বহু মানুষ আছেন যারা কিনা বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। আর এই ঘটনাই রেলের অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আহমদপুর কাটোয়া জ্ঞানদাস রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে টিকিট কেটেছেন এমন যাত্রীদের মুখ মিষ্টি করানোর মতো উদ্যোগ নিয়েছেন।

এই অ্যাসোসিয়েশনের এহেন উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে। এদিন দেখা যায় স্টেশনজুড়ে ছিল ‘টিকিট কাটুন, ট্রেনে চাপুন’ লেখা পোস্টার। সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, সৎ ও সচেতন যাত্রীদের ধন্যবাদ জানাতেই এই মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থা। আর যাঁরা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছিলেন, তাঁদের হাতজোড় করে অনুরোধ করা হয়—এমন অভ্যাস থেকে তাঁরা যেন বিরত থাকেন। শুধু স্টেশন বা স্টেশন চত্ত্বরেই নন, সংগঠনের সদস্যরা ট্রেনের ভেতরে উঠেও এই প্রচার চালান।

কী বলছে সংগঠন?

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী ঘোষ। তিনি জানান, “কাটোয়া-আহমদপুর রুটে ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই ট্রেন বাড়ানো জরুরি। তবে রেল যাতে তা বিবেচনা করে, সে জন্যই সব যাত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠা অত্যন্ত প্রয়োজন। যাত্রীদের সে দিকেই উৎসাহিত করতে এ দিনের উদ্যোগ।”

Leave a Comment