DA নিয়ে টালবাহানার জের, এবার হতে পারে বড়সড় কিছু! কাঁপবে নবান্ন থেকে রাজপথ

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অপেক্ষা করেও হল না লাভ। ডিএ মামলার (DA Case) টাকা এখনই দেওয়া সম্ভব নয় বলে আরও ছয় মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। আর তাতেই ফুঁসে উঠল DA -র জন্য আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। নবান্ন অভিযানের পথে পা বাড়াতে চলেছে কর্মী সংগঠন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ‘আদালত অবমাননার নোটিস’ দেওয়ার দাবি করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরাম।

আরও ৬ মাস সময়!

গত ১৬ মে ডিএ মামলায় (DA Case) সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। হিসেব অনুযায়ী আদালতের দেওয়া সেই ৪ সপ্তাহ শেষ হচ্ছে আজ অর্থাৎ ২৭ জুন। কিন্তু রাজ্য সরকার কর্মীদের বর্ধিত DA নিয়ে কোনরকম উচ্চবাচ্য করেনি।

উল্টে আজ আরও ৬ মাস সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন আদালতে নবান্নের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য বাজেটে অর্থের সংস্থান করে রাখা ছিল না। তাই এইমুহুর্তে বকেয়া ডিএ মেটানো অসম্ভব।

নবান্ন অভিযানের পথে সরকারী কর্মীরা!

এদিকে রাজ্যের এই DA সংক্রান্ত পদক্ষেপ সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। ক্ষোভের বসে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ‘আদালত অবমাননার নোটিস’ দেওয়ার দাবি করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরাম।

জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার, প্রেস ক্লাব থেকে রাস্তায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মীরা কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই কর্মসূচির মধ্যে নাকি নবান্ন অভিযানের ডাকও দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদ।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি গ্রাহককে বিরাট ঝটকা দিল HDFC ব্যাঙ্ক

রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, ‘আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেটাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। সরকার আজ ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সময় চেয়ে। আমাদের মনে হচ্ছে, রাজ্য আদালত অবমাননার দায় এড়ানোর জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছে। আমরা আজকেই রাজ্যকে আদালত অবমাননার নোটিস দেবো।’

অন্যদিকে বিক্ষোভের সুরে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল মিত্র জানিয়েছেন, “ বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চটাই এড়িয়ে যেতে চাইছে রাজ্য। কারণ রাজ্যের কোষাগারে সরকারি কর্মীদের দেওয়ার মতো বরাদ্দ মহার্ঘ ভাতা যথেষ্ট রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের আবেদন কতটা ধোপে টিকবে, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।”

Leave a Comment