প্রীতি পোদ্দার, অশোকনগর: ভয়ংকর ঘটনা অশোকনগরে! নতুন বাড়ি তৈরির জন্য ভিত কাটতেই বেরিয়ে এল ২ টি মাথার খুলি এবং হাড়গোড়! রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে (Ashoknagar) ঘটল এই ভয়ংকর ঘটনা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে যেই বাড়ি থেকে এই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে সেটি আসলে প্রয়াত এক সিপিআইএম নেতার বাড়ি। গত ঘটনার সাক্ষী দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়েরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট মোতাবেক, গতকাল অর্থাৎ রবিবার দুপুর দিকে অশোকনগর থানার কল্যাণগড় বাজারের পার্শ্বস্থ স্বামীজি সঙ্ঘ ক্লাবের পাশে প্রয়াত সিপিআইএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঘটল এক ভয়ংকর ঘটনা। তাঁর বাড়ি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন মেয়ে। তাই পুরোনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি গড়ার জন্য বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই হঠাৎ দু’টি মাথার খুলি এবং হাড়গোড় দেখতে পান মিস্ত্রিরা। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মিস্ত্রিরা। এবং গোটা এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলে অবাক হয়ে যায়। এরপরই সময় নষ্ট না করে খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। কীভাবে কোথা থেকে এই কঙ্কালগুলি এল, কাদেরই বা কঙ্কাল, কিছুই জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভিত খোঁড়ার কাজ।
তদন্তে নামল পুলিশ
সিপিআইএম নেতার বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চিন্তামণি নস্কর-সহ একাধিক পুলিশ কর্তা এবং হাবড়ার এসডিপিও। উদ্ধার করা খুলি ও হাড়গোড়গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, কঙ্কালগুলি বেশ পুরনো। কিন্তু বিস্তারিত রিপোর্ট জানা যাবে একমাত্র ময়নাতদন্তের পরে। আপাতত ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ এবং কঙ্কালগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিজন মুখোপাধ্যায় ছিলেন অশোকনগর সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য এবং বাম আমলের দাপুটে নেতা। কিন্তু ২০১৩ সালে প্রয়াত হন তিনি। এত বছর পর তাঁর বাড়ি থেকে এইরূপ কঙ্কাল উদ্ধার সকলের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: ইস্তফা হোক আর বরখাস্ত, দু’দিনের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে কর্মীর! নয়া আইন কেন্দ্রের
অশোকনগরে মাথার খুলি এবং হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন , “ বিজনেরা এককালে অশোকনগর-হাবড়ার ত্রাস ছিল, আশির দশকে এই এলাকায় এদের কথাই ছিল শেষ কথা। ২০০২ সালেও এক বার এলাকার এক জলের ট্যাঙ্ক থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এগুলো হয়তো তখনকার কংগ্রেস কর্মীদের দেহ। সিপিএমের সেই কলঙ্কিত ইতিহাস আজ মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে আসছে! আরও কত কী যে বেরোবে এখন সেটাই দেখার। ’’