প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই জনসাধারণের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য একের পর এক পরিকল্পনা করে চলেছে। ইতিমধ্যেই বঙ্গে চলছে SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি, তাই বিতর্কের আগুন বেশ বেড়েছে। এই অবস্থায় ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। টাকা এবার আরও বাড়ানোর সংকেত দিল তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)।
আরও বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন মমতা। প্রকল্পের আওতায় শুরুতে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হতো রাজ্যের মহিলাদের। পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে মাসে ১০০০ টাকা করা হয়। তফসিলি-জনজাতিদের ১২০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই টাকা এবার আরও বাড়ানোর সংকেত দিলেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। এমনকি বাংলার মেয়েদের টাকা দেওয়ার পাশাপাশি স্বামীদের নিয়েও নানা মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
ভাইরাল ভিডিও
সম্প্রতি টুইটারে যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি জনসভায় গিয়েছেন আর সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন শুরুতে এই প্রকল্প ৫০০ করে দেওয়া হলেও টাকার পরিমাণ বর্তমানে বেশ বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তীকালে সেই টাকা ২০০০-২৫০০ টাকা বেড়ে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ করেননি তিনি। সায়নী ঘোষ আরও বলেন যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়েই নাকি আজকাল স্বামীরা বাইকের তেল ভরছেন। আর এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধীদের তরফে একাধিক কটাক্ষ শুরু হয়। অনেকেই বলছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ওই টাকা আসলে স্বামীদের বাইকের ফাইন থেকে আসছে।’ তবে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত CPIM নেতার বাড়ির ভিত খুঁড়তেই উদ্ধার খুলি, হাড়গোড়! আতঙ্ক অশোকনগরে
কিছুদিন আগে তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘আড়াই হাজারি স্কিম’ আনার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন আড়াই হাজার টাকা, ৫০০ টাকায় মিলবে রান্নার গ্যাস, সরকারি বাসে মহিলাদের জন্য থাকবে বিনামূল্যে যাতায়াত, সেই সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতে দশ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা। অর্থাৎ দিল্লির মত বাংলাতেও ‘সংকল্প পত্র’ চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই ঘোষণাকে ‘ভোটের আগে খয়রাতির রাজনীতি’ বলে কটাক্ষও করেছে।