সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মহারাষ্ট্রে ঘটে গেল এক রোমহর্ষক ঘটনা। ভালবাসার সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার কারণে অন্য জাতের এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে (Maharashtra Murder) মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। বছর কুড়ির ওই যুবকের নাম সক্ষম তাতে। এই ঘটনা সামনে আসতেই গোটা এলাকায় শোক এবং ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রেমের কারণেই যুবককে খুন
দৈনিক জাগরণের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নানদেড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা এবং দুই ভাই প্রথমে ওই যুবককে ধরে মারধর করে। এরপর মাথায় গুলি করে খুন করা হয়, এমনকি শেষবার তাঁর মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, মৃত সক্ষম তাতে এবং আঞ্চল নামের ওই যুবতীর মধ্যে প্রায় বছর তিনের সম্পর্ক ছিল। আঞ্চলের ভাইদের মাধ্যমে সক্ষমের সাথে তাঁর যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে নিয়মিত কথোপকথনের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে।
তবে যেহেতু তাঁরা ভিন্ন ধর্মের ছিল, তাই মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক কোনওভাবেই মানতে রাজি ছিল না। জাতপাতের ভিন্নতার কারণেই একাধিকবার দু’জনকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তবুও আঞ্চল সক্ষমের সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। তবে পরিবারের কাছে খবর যায় যে, আঞ্চল খুব শীঘ্রই সক্ষমকে বিয়ে করতে চলেছে। তারপরেই ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। বৃহস্পতিবার সক্ষমকে ধরে নিয়ে যায় ওই মেয়ের বাবা এবং ভাইয়েরা। প্রথমে তাঁকে মারধর করা হয়, তারপর মাথায় গুলি করা হয় এবং তারপর পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয় ওই তরুণকে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ছাড়াই সরকারি চাকরি! প্রতিরক্ষা সংস্থায় আইটিআই পাসে প্রচুর স্টাফ নিয়োগ
তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, যখন সক্ষমের শেষকৃত্য চলছিল, তখন সেখানে পৌঁছয় আঞ্চল। আর সেখানে আঞ্চল সক্ষমের গায়ে হলুদ লাগায় এবং নিজের কপালে সিঁদুর পড়ে। এরপর মৃত প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহের আচার সম্পন্ন করে আঞ্চল। এরপর সে সক্ষমের পরিবারের সাথেই তাঁর স্ত্রী হিসেবে সারা জীবন কাটানোর শপথ গ্রহণ করে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি জোরকদমে তদন্ত চলছে।