কাটমানি নিচ্ছেন করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক? উঠল গুরুতর অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

Raiganj

প্রীতি পোদ্দার, রায়গঞ্জ: আর কয়েক মাস পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এমতাবস্থায় শাসকদলের আরও এক কেচ্ছা প্রকাশ্যে এল। লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা নিতে দেখা গেল রায়গঞ্জের (Raiganj) করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালকে। সম্প্রতি সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় কাণ্ড রাজনৈতিক মহলে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়াহুড। এবার সেই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানাল রায়গঞ্জের এক আইনজীবী।

ঠিক কী ঘটেছিল?

কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পালকে কাটমানি নিতে দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি India Hood। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার এবং করণদিঘি থানায় ই-মেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন রায়গঞ্জের এক আইনজীবী মনতোষ সরকার। তাঁর দাবি, “করণদিঘির বিধায়কের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যেখানে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও বিধায়ককে এনিয়ে কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। তাই দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছি।”

বিধায়কের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আইনজীবীর

জেলা আদালতের ওই আইনজীবী অভিযোগকারী মনতোষ সরকার শুধু যে করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালকেই টার্গেট করেছেন তা নয়, পাশাপাশি বিধায়কের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট থাকার অভিযোগে তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিধায়কের স্ত্রী SC না হয়েও সেই সংরক্ষণকে কাজে লাগিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে রয়েছেন। এই আমলে এই ধরনের দুর্নীতি রাজনৈতিক ভাবধারাকে নষ্ট করে দিচ্ছে, যেটি কিনা সমাজের পক্ষে বেশ ক্ষতিকারক। তাই সেক্ষেত্রেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই করণদিঘির বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।

আরও পড়ুন: মোলিনার পর তাঁর সহকারীকেও ছাড়ল মোহনবাগান, ইনি হচ্ছেন লোবেরার সহযোগী

বিধায়ক গৌতম পাল কাটমানি নেওয়ার ঘটনায় চুপ থাকলেও, নিজের দলের একাধিক নেতা তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিধায়কের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি চক্রান্ত করে এআই প্রযুক্তি দিয়ে বানানো। আসলে যেহেতু সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই তার আগে স্রেফ ইমেজ নষ্ট করার পরিকল্পনা। একই সুর শোনা গিয়েছে করণদিঘি ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুভাষ সিনহার গলায়। তাঁর দাবি, ভোটের আগে বিধায়কের রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে মুর্শিদাবাদের একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দিয়ে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর ছবি এবং কন্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। তবে আসল সত্যিটা কী সবটাই প্রকাশ্যে আসবে তদন্তের মাধ্যমে।

Leave a Comment