প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনকি জেলের ঘানি টানতে হয়েছে শাসকদলের দাপুটে নেতাদের। এখনও সেই বিতর্ক শেষ হয়নি। এমতাবস্থায় আরও প্রকাশ্যে উঠে এল, রাজ্যে পুলিশি চাকরির জালিয়াতির অভিযোগ। গতকাল অর্থাৎ রবিবার পুলিশের পরীক্ষায় জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরীক্ষায় রাজ্যের বেকার যুবকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
রাজ্যে পুলিশি চাকরির পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি!
গতকাল অর্থাৎ রবিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। অসংখ্য প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদিকে সেই পরীক্ষায় একাধিক জায়গায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, প্রতারণার অভিযোগে নিউ দিঘা থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গতকালই সেই ঘটনায় ভুয়ো সেন্টার বানিয়ে চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার মতো অভিযোগও উঠেছে। সেই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “ফর্ম বিক্রি করে টাকা তোলা হচ্ছে। পুলিশের পরীক্ষা হচ্ছে, একটাও চাকরি হবে না। সবাইকে পরীক্ষায় বসিয়ে রেখে গাজর ঝুলিয়ে দিল।” এবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে পুলিশি পরীক্ষা নিয়ে বড় অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু।
সাংবাদিক বৈঠকে কী বলছেন শুভেন্দু?
আজ অর্থাৎ সোমবার, রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে ৬ মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য পুলিশ পরীক্ষায় পরীক্ষার OMR কার্বন কপি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। তিনি এদিন বলেন, “এই সরকার চাকরি দেওয়ার সরকার নয়। পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই সরকার যুবকদের স্বপ্ন ভাঙার কাজ করছে।” পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করে শুভেন্দু এদিন বলেন, “পরীক্ষায় OMR শিটে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়নি। কার্বন কপিও দেওয়া হয়নি। এর অর্থ হল পরে চাকরি নিয়ে নয়ছয় করা হবে। অন্য লোকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। প্রতারণার শিকার হওয়া যুবকেরা চাইলে আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে পারেন। চাইলে তাঁরা আইনি লড়াইতেও নামতে পারেন।”
আরও পড়ুন: কাটমানি নিচ্ছেন করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক? উঠল গুরুতর অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের সকল চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দেন যে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে চাকরি নিয়ে হওয়া সব দুর্নীতির যথাযোগ্য তদন্ত হবে। নেতা মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিক- যে এই কাজে যুক্ত থাকুক না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে কোনও বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।