হবে বিপুল কর্মসংস্থান, তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে টেন্ডার ডাকল রাজ্য সরকার!

Tajpur Deep Sea Port

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফের তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য নয়া গ্লোবাল টেন্ডার (Tajpur Deep Sea Port) ডাকল। সূত্রের খবর, আগামী ১৪ জানুয়ারি এ নিয়ে বৈঠক হবে। তারপর ১ ফেব্রুয়ারি দরপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রাথমিক দরপত্রে রাখা শর্তগুলোই অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। এতে শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। তার জন্য ১০০০ একর জমিও দেওয়া হবে এবং সৃষ্টি হবে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান।

তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে নয়া টেন্ডার

উল্লেখ্য, টেন্ডারের নথিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দরের নকশা তৈরি, আর্থিক লেনদেন, নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য এই দরপত্রের আয়োজন করা হয়েছে। যে সংস্থাগুলি দরপত্রের জমি দিতে ইচ্ছুক, তাদের আগে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নাহলে অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকি জানানো হয়েছে, এখানে জমি দিতে গেলে ৮০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি অংকের বন্দর প্রকল্পে কাজ করে থাকতে হবে। তবে সমুদ্র বন্দর থেকে রেল বা সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নবান্ন সহযোগিতা করবে।

সবথেকে বড় ব্যাপার, ২৫ হাজার কোটি টাকার তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রজেক্ট যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে নতুনভাবে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর সেই সূত্রে পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ হবে এবং বেকারদের চাকরির সুযোগ হবে। প্রত্যক্ষভাবে তো ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবেই, পাশাপাশি পরোক্ষভাবে আরও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আরও পড়ুন: উঠেছিল পাকিস্তানে গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ! বেকসুর খালাস ব্রহ্মস বিজ্ঞানী

লড়াইয়ে নামবে আদানি গোষ্ঠী?

তাজপুর গ্লোবাল টেন্ডারে বড় কোনও শিল্পপতি অংশগ্রহণ করে কিনা সে দিকে নজর রাখছে এখন বিশেষজ্ঞরা। শোনা যাচ্ছে, তাজপুর বন্দর তৈরীর ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠী আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। বিশেষ করে গত আগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গৌতম আদানির সাক্ষাৎকারের পর সেই জল্পনা আরও তুঙ্গে। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ২০২১ সালে যখন শেষবার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তখন জেএসডব্লিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে পিছনে ফেলে অংশগ্রহণ করেছিল আদানি গোষ্ঠীর আদানি স্পোর্টস এন্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন। তবে পরে সেই প্রক্রিয়া বাতিল হয়। এখন এবারের টেন্ডারে আদানি গোষ্ঠী অংশগ্রহণ করে কিনা সেটাই দেখার।

Leave a Comment