গত ৫ বছরে দেশে বন্ধ হয়েছে ২ লক্ষের বেশি প্রাইভেট কোম্পানি! জানাল সরকার

Privet Company Shut Down

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের কর্মসংস্থান বাজারের বর্তমান রিপোর্ট চিন্তায় ফেলছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার লোকসভার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দেশে ২ লক্ষের বেশি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে (Private Company Shut Down)। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ অংশ নিষ্ক্রিয়তার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারি রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে কর্মসংস্থান হারিয়েছে বহু সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে চমক

লোকসভায় সম্প্রতি কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে দেশের মোট ২,০৪,২৬৮টি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। আর এর কারণ হিসাবে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে কোম্পানিগুলির একত্রীকরণ, রূপান্তর, বিলুপ্তি। পাশাপাশি ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের আওদায়ও বন্ধ করা হয়েছে বহু বেসরকারি সংস্থাকে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে-

  • ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ১৫,২১৬টি বেসরকারি কোম্পানি,
  • ২০২১-২২ অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ৬৪,০৫৪টি কোম্পানি,
  • ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ৮৩,৪৫২টি কোম্পানি,
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ২১,১৮১টি কোম্পানি এবং
  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ২০,৬৩৫টি কোম্পানি।

উল্লেখ্য, এই সময়ের মধ্যে ১,৮৫,৩৫০টি কোম্পানিকে সামগ্রিকভাবে সরকারের রেকর্ড থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৬ জুলাই পর্যন্ত রয়েছে ৮৬৪৮টি কোম্পানি।

শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

বলাবাহুল্য, এদিন কর্মচারী পুনর্বাসনের বিষয়ে মালহোত্রা বলেছেন যে, এই কোম্পানি বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য সরকারের কাছে আপাতত কোনওরকম প্রস্তাব নেই। মন্ত্রণালয় এই ধরনের ঘটনাগুলিকে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক চক্রের অংশ হিসেবে দেখে। এর জন্য কোনওরকম তহবিল বা পরিকল্পনা বরাদ্দ নেই। তবে এই কোম্পানিগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে শ্রম বাজারে আরও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে।

আরও পড়ুন: ৯০ টাকা পার, ডলারের পরিবর্তে সর্বকালের সর্বনিম্ন ভারতীয় রুপির মান! আজকের রেট

উল্লেখ্য, অবৈধ অর্থায়নের জন্য সম্ভব্য হিসাবে ব্যবহৃত শেল কোম্পানিগুলো সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছেন, শেল কোম্পানি শব্দটি ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। তবে সন্দেহজনক কার্যকলাপ চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং তদন্তের জন্য ইডি ও আয়কর বিভাগের মতো সংস্থাগুলিকে পাঠানো হয়। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবথেকে বেশি কোম্পানি বন্ধ হওয়ার পেছনে কারণ হল এমসিএ-র ধর্মঘট অভিযান। যদিও সামগ্রিকভাবে দেশের শ্রম বাজারের এই চিত্র মোটেও সন্তোষজনক নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Comment