প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এইমুহূর্তে দেশের প্রতিটি চাকুরিজীবীদের নিজস্ব প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কারণ এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে। তবে অনেকেই এমন আছেন যাঁরা PF অ্যাকাউন্ট নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানেন না। পিএফ এবং পেনশন নিয়েও অনেকের মধ্যে ধোঁয়াশা থাকেন। এমনকি অনেকেই জানতে চান যে, পিএফ-এর কত শতাংশ টাকা তুললে গ্রাহক আর পেনশন পাবেন না, চলুন আমাদের আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কখন কর্মীরা পেনশনের দাবি করতে পারেন?
অবসরের পর চাকরিজীবীরা যাতে বাকিটা জীবন আর্থিক নিরাপত্তা পেয়ে থাকে তার জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে, প্রতি মাসে কর্মীর বেতনের ১২ শতাংশ জমা করা হয় PF অ্যাকাউন্টে। আর এই সমপরিমাণ টাকা ওই ব্যক্তির নামে তাঁর সংস্থাও জমা করে এই অ্যাকাউন্টে। এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ জমা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ EPF স্কিমে জমা পড়ে। এরপর সেই টাকাই ম্যাচিওরিটির পর পেনশন হিসেবে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলে তখনই ইপিএফ-এর কর্মী পেনশনের দাবি করতে পারেন।
কখন আর পেনশন পাওয়া যায় না?
তবে এর মধ্যে যদি সেই ইপিএফ-এর কর্মী মাঝপথে চাকরি ছেড়ে দেন, বা কোনও কারণে পিএফের পুরো টাকা তুলে নেন, কিন্তু তবুও ফান্ডে টাকা রয়ে যায়, তাহলেও তিনি পেনশন পাবেন অবসরের পরেও। কিন্তু যদি দেখা যায় তিনি ইপিএসে জমানো টাকাও একত্রে তুলে নিয়েছেন, তাহলে কোনোভাবেই আর পেনশন পাওয়ার যোগ্য থাকবেন না সেই ব্যক্তি। অর্থাৎ গ্রাহক যদি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা তোলেন, তাহলে সে আর কোনো পেনশনের সুবিধা পাবেন না।
আরও পড়ুন: আবারও পিছন থেকে ছুড়ি! চিনের পাল্টা চালে ফ্যাসাদে পড়ল ভারত
এক্ষেত্রে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি একটানা ১০ বছর চাকরি করে থাকেন, তাহলেই তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন। অর্থাৎ পেনশন পাবেন। এমনকি ব্যক্তির বয়স একমাত্র ৫০ পেরোলেই তিনি পেনশনের দাবি করতে পারেন। অবসরের পর ইপিএফ-এ জমা হওয়া টাকার ৭৫ শতাংশ একবারে দেওয়া হয় এবং বাকি ২৫ শতাংশ প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে।