পশ্চিমবঙ্গে প্রথম! চকলেটের জন্য এই জেলায় কোকো চাষ, মিলছে চারাগাছও

Cocoa Cultivation

সৌভিক মুখার্জী, জলপাইগুড়ি: রাজ্যে প্রথমবার চকলেটের জন্য উৎপাদন হচ্ছে কোকো ফল (Cocoa Cultivation)। সঙ্গে হচ্ছে কফি চাষ। হ্যাঁ, আমরা বলছি চায়ের জেলা জলপাইগুড়ির কথা। বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এবার সুফল পেল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা। জানা গিয়েছে, মোহিতনগরের ফার্মে এবার ১৫ প্রজাতির কোকো চাষ চলছে। আর তার বিনস থেকেই উৎপন্ন হবে চকলেট। ইতিমধ্যেই গাছে গাছে কোকো ফল ফলন শুরু হয়েছে। এমনকি তা রংবেরঙের। কোনওটা বেগুনি, কোনওটা হলুদ, আবার কোনওটা সবুজ।

রাজ্যে প্রথম কোকো চাষ

বলাবাহুল্য, রাজ্যে প্রথমবার জলপাইগুড়ি জেলায় কোকো চাষ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় রোপণ ফসল অনুসন্ধান সংস্থার মোহিতনগর সেন্টারের ইনচার্জ অরুণকুমার শিটের। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, উত্তরবঙ্গে এবার চকলেট কোম্পানি বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে টক্কর দিয়ে উত্তরবঙ্গের কৃষকরাও অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আর সেখানে সুপারি বাগানে খুব ভালোভাবেই কোকো চাষ হতে পারে বলে দাবি করছেন তিনি। এছাড়া, এখন চায়ের জেলা জলপাইগুড়িতে কফি চাষও ভালোভাবেই হচ্ছে।

এমনকি তিনি বলেছেন, উৎসাহী কৃষকরা চাইলে আমাদের কাছ থেকেই কোকো এবং কফির চারা পাবে। বীজ থেকে তৈরি চারার পাশাপাশি কোকোর গ্রাফটিং করা চারা রয়েছে আমাদের কাছে। নতুন ফসল হিসাবে কোকো চাষ যথেষ্ট লাভজনক। কারণ, এর সবথেকে বড় সুবিধা হল একই জমিতে সুপারি, গোলমরিচ চাষ একসঙ্গেই করা যায়। সেক্ষেত্রে ৯/৯ ফুট দূরত্বে সুপারি গাছ লাগাতে হবে। আর ৯/১৮ ফুট দূরত্বে কোকো গাছ লাগাতে হবে। জমির গুণগত মান ভালো থাকলে চারপাশে বেড়া দিয়ে কফি গাছ লাগাতে পারেন কৃষক।

আরও পড়ুন: এই ডকুমেন্ট না দিলে মিলবে না টাকা, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে চালু হল নতুন নিয়ম

সাধারণত কোকো গাছ লাগানোর তিন বছর পর থেকেই ফুল আসতে শুরু করে। আর কোকো বাজারে নিয়ে আসার জন্য আরো দু’বছর অপেক্ষা করতে হয়। ১ একর জমিতে প্রায় ২৭০টির মতো কোকা গাছ লাগানো যেতে পারে বলে দাবি করেছেন অরুণকুমার শিটের। আর প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২ কেজি শুকনো কোকো বিনস পাওয়া যায়, যার পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

Leave a Comment