খনি খুঁড়তেই খুলে গেল কপাল! মিলল ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের হীরে

Madhya Pradesh

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দুই যুবকের। ২৪ বছরের সতীশ খটিক এবং ২৩ বছরের সাজিদ মোহম্মদ দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজেদের বোনের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করা তাদের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার কারণ ছিল। তাই ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পান্না অর্থাৎ যাকে ‘হীরার শহর’ বলা হয়, সেখানে একটি ছোট্ট খনি লিজ নিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই তাঁদের ভাগ্য বদলে গেল। হ্যাঁ, সেই খনি থেকেই তাঁদের হাতে উঠে আসলো ১৫.৩৪ ক্যারেট ওজনের মূল্যবান হীরা, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।

ভাগ্য বদলে গেল দুই যুবকের

এই বহু মূল্যবান হীরে উদ্ধার করে পান্নার রানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সতীশ এবং সাজিদ বলেছেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে বোনদের বিয়ে দেওয়া। আর এই হীরে আমাদের সেই স্বপ্নই পূরণ করবে। সতীশ একটা ছোট্ট মাংসের দোকান চালান। আর সাজিদ একটি ফলের দোকানে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই সাজিদের পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ দাদু এবং বাবারা খনি থেকে হীরা আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেরকম কোনও সাফল্য পাননি। কিন্তু তাদের নাতির হাতেই এবার ভাগ্য খুলে গেল।

এ বিষয়ে ডায়মন্ড অফিসার রবি প্যাটেল জানিয়েছেন, মাত্র ২০ দিন আগেই ওই যুবক খনন শুরু করেছিল। মঙ্গলবার তাঁরা হীরাটি অফিসে জমা দিয়েছে। এর দাম ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। আর এই দুর্লভ মানের হীরাটি খুব শীঘ্রই সরকারি নিলামে তোলা হবে।

আরও পড়ুন: ৪টি থেকে তৈরি হবে ১২টি প্রদেশ! ফের বিভক্ত হওয়ার পথে পাকিস্তান

‘ভারতের হীরার শহর’ পান্না

বলে রাখি, মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে অবস্থিত এই পান্না জেলা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের হীরার খনির জন্য পরিচিত। এখানে ছোট খনি লিজ নেওয়া হয় মাত্র ২০০ টাকায়, আর প্রতি তিন মাসে অনুষ্ঠিত হয় সরকারী হীরার নিলাম। সেই সূত্রে গত মাসে ৬ জন কৃষক পাঁচটি হীরা পেয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনটি ছিল উচ্চমানের, যার দাম দাঁড়িয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত পান্না ডায়মন্ড অফিসে ৬০টিরও বেশি হীরা জমা হয়েছে, যা থেকে আবারও প্রমাণ মিলছে পান্নাকে কেন ‘হীরার রাজধানী’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ওই জেলায় মোট ১২ লক্ষ ক্যারেট হীরার মজুদ থাকতে পারে।

Leave a Comment