বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: “ভাগ্য ফিরতে এক মুহূর্তই যথেষ্ট।” এই প্রচলিত বাংলা প্রবাদকে বারবার সত্যি করে দেখিয়েছেন লটারি বিজেতারা। রাতারাতি কোটিপতি হতে চাইলে লটারি কাটা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও বিকল্প মাথায় আসে না আমজনতার। তাতে ভাগ্যও বদলায় তাদের। কোথাও দিনমজুর, কোথাও আবার স্কুল শিক্ষক! লটারি কেটে কোটি টাকা জিতেছেন এমন উদাহরণ অহরহ। তবে কোনও ফুটবলার লটারিতে কোটিপতি হয়েছেন এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম। এবার সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পুরুলিয়ার এক ফুটবলার। মাত্র 35 টাকার লটারিতেই কোটি টাকা ঘরে তুলেছেন বঙ্গ ফুটবলার সিবাস মাহাতো (Purulia Footballer Wins Lottery)।
35 টাকার লটারিই ভাগ্য বদলে দিল বঙ্গ ফুটবলারের
নামের সাথে ফুটবলার তকমাটা থাকলেও পুরুলিয়ার ছেলে সিবাসের ঘরে ঢু মারলে আর পাঁচটা বাড়ির মতোই ধরা পড়বে অভাবের চিত্র। তবে দারিদ্রতার সাথে লড়তে লড়তেই ফুটবল খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন সিবাস। বিভিন্ন ক্লাব এবং জেলাভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করতেন তিনি। তবে ন মাসে ছয় মাসে একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে কী আর পেট চলে.. তাই অভাবের তাড়নায় মাঝেমধ্যেই লটারি কেটে ভাগ্য পরীক্ষা করতেন সিবাস।
এমনই একদিন 35 টাকা দিয়ে ডিয়ার লটারির একটি টিকিট কেটেছিলেন পুরুলিয়ার ফুটবলার। তেলকল পাহাড় মাহাতো পাড়ার বাসিন্দা সিবাস স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, ওই এক টিকিটই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে তাঁর। তবে পরে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখেন তাঁর লটারির নম্বরেই 1 কোটি টাকা বেঁধেছে। প্রথমদিকে সবটা বিশ্বাস না হলেও ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন। এদিকে, সিবাসের আর্থিক সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা মা-বাবা, দাদা-বৌদি থেকে স্ত্রী সহ পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
অবশ্যই পড়ুন: এভাবে নোবেল পাবেন না! মোদি-পুতিনের ছবি দেখিয়ে ট্রাম্পকে বিঁধলেন মার্কিন নেত্রী
কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন সিবাস?
ফুটবল খেলার পাশাপাশি একটি সংস্থা তে কাজ করতেন সিবাস। তবে বহুদিন হয়েছে সেই সংস্থা তলপিতলপা গুটিয়েছে। তাই আকস্মিক ভাগ্য বদলের আশায় লটারি কাটা একেবারে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল তাঁর। আর সেই অভ্যাসই তাঁকে কোটিপতি বানাল। এ নিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বঙ্গ ফুটবলার জানিয়েছেন, “লটারিতে এত টাকা পেয়ে যাব আগে কখনও ভাবিনি। বেশ ভাল লাগছে।” পরবর্তীতে এই অর্থ দিয়ে কী করবেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, এখনও সবটা ঠিক করা হয়নি। পরিবারের বাকিরা যা সিদ্ধান্ত নেবে সে দিকেই এগোবেন..