বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও বড় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। আর সেই হাত ছাড়া হওয়া সুযোগের ফাঁকেই ঢুকে পড়েছে চিন। অনেকেই হয়তো জানেন না, ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদ (Myanmar Rare Resources) দখল করেই বর্তমানে এত দাপাদাপি দেখাচ্ছে ড্রাগন।
জানিয়ে রাখি, চিনের আগে মায়ানমারের ওই অঞ্চলে জায়গা করতে পারতো ভারত, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আর সেই সূত্র ধরেই প্রতিবেশীর বিরল খনিজ সম্পদ কব্জা করেছে বেইজিং। এবার সেই পুরনো গল্প নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের এক ইনফ্লুয়েন্সার।
বিরাট সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের
আসলে সর্বগ্রাসী মনোভাবাপন্ন চিন, অন্যান্য দেশে ঢুঁ মারার পাশাপাশি ভারতের প্রতিবেশী মায়ানমারে একেবারে শক্তিশালী আস্তানা গেড়ে ফেলেছে। মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে ওই অঞ্চলের অন্তত 45 শতাংশ বিরল খনিজ সম্পদ দখল করেছে ড্রাগন। এ প্রসঙ্গেই সম্প্রতি জয়ন্ত মুন্ধ্রা নামক এক ইনফ্লুয়েন্সার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, চিন মায়ানমারের উত্তরাঞ্চল দখল করেছে। এদিকে মায়ানমারের বিরাট সম্পদ হাতছাড়া করেছে ভারত।
অবশ্যই পড়ুন: কাঁদতে হবে প্রতিপক্ষকে, ইস্টবেঙ্গলে সই করছেন মরক্কোর রাজা ফুটবলার!
মুন্ধ্রার বক্তব্য, ভারতের অফিসিয়ালরা যদি মিয়ানমারে থাকা পৃথিবীর বিরলতম খনিজ সম্পদ নিয়ে সামান্যতম চিন্তিত হতেন, তাহলে হয়তো আজ ওই অঞ্চলের অর্ধেক বিরল সম্পদ চিনের হাতে যেত না। প্রসঙ্গত, 2008 সালে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি নামক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে মায়ানমারের ওই খনিজ সম্পদ দখল করে নেয় ড্রাগন। আর এরপর থেকেই, কাচিনের বিরল থেকে বিরলতম খনিজ সম্পদগুলি চিনে পাঠাচ্ছে মায়ানমারের ওই বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা।
ওই সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সুরেন্সারের বক্তব্য, মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে কাচিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পিছন থেকে মদত যুগিয়েছিল চিন। যার ফলে ভারতের প্রতিবেশীর ওই বিরল সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চলটিতে ক্রমশ নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থাকে ড্রাগন। ওই ব্যক্তির দাবি, চিন মিয়ানমারের ওই অঞ্চলটিতে দারুণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। এদিকে ভারত শুধুই হা করে তাকিয়ে! তাঁর প্রধান বক্তব্য, আমাদের সীমান্তের একেবারে পাশেই পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্লভ খনিজ সম্পদ মজুদ ছিল… কিন্তু তা জানা সত্ত্বেও আমরা কিছুই করতে পারিনি। বরং প্রতিবেশীর সমস্ত সম্পদ লুট করছে ড্রাগন।