হাতে আর ১০ দিন, তার আগেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

Santiniketan Poush Mela 2025

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, ব্যস তারপরেই শুরু হতে চলেছে শান্তিনিকেতনের বিশ্ববিখ্যাত পৌষ মেলা (Santiniketan Poush Mela)। এই পৌষমেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে শান্তিনিকেতন। এই উৎসবে সামিল হতে ইতিমধ্যে বহু মানুষ শান্তিনিকেতনে পৌঁছেও গিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে পূর্বপল্লী ময়দানে মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, আদৌ এবছর মেলাটা হবে তো? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।

পৌষমেলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (ভিবিইউ) কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (NGT) থেকে প্রয়োজনীয় সকল অনুমোদন পাওয়ার পর এই বছরের পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে স্টল বরাদ্দ করা হবে। পৌষ মেলায় স্টলের জন্য প্লট বরাদ্দের সময় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী ট্রাস্টের সচিব অনীত কোনার সহ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিগ ঘোষ জানান, এ বছর ছয় দিন ধরে পৌষ মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি জানান, “সবাই চায় পৌষ মেলা হোক, কিন্তু আমরা জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে চাই।”

স্টল বুকিং নিয়েও বিশেষ সিদ্ধান্ত

এদিকে মেলায় তৈরী হওয়া স্টল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। কালোবাজারি ও দুর্নীতি রোধে চলতি বছর স্টল বুকিং প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের মেলায় যাঁরা স্টল দিয়েছিলেন, তাঁরা ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর প্লট বুক করতে পারবেন। ১৭ ডিসেম্বর থেকে সকলের জন্য অনলাইন বুকিং সাইট খুলে দেওয়া হবে। প্লট বুকিংয়ের ফি গত বছরের মতোই থাকছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ বলেছেন, ‘কোনোরকম কালোবাজারি চলবে না। অনলাইনে বুকিং হবে।’

পরিবেশ দূষণ রুখতে বড় নির্দেশ

উল্লেখ্য, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা নিয়ে জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন, যার পরে এনজিটি নির্দেশ অনুসারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আতশবাজি ফাটানো বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ ‘KKR আমার জীবন বদলে দিয়েছে’, IPL এর আগেই অকপট বৈভব আরোরা 

দোলের সময়ে সময় বসন্ত উৎসব এবং ডিসেম্বরে পৌষ মেলা হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বৃহত্তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীদের এই জায়গায় আসার জন্য আকৃষ্ট করে।

Leave a Comment