গীতাপাঠের পর ব্রিগেডে এবার হরিনাম সংকীর্তন, বড় কর্মসূচির ডাক মতুয়াদের

Brigade

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২৬ এর নির্বাচন কর্মসূচি যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনীতির পারদ। তৃণমূল থেকে বিজেপি সকলেই ভোট প্রচারের প্রস্তুতিতে বেশ জোর কদমে নেমেছে। এদিকে ভোটের মেজাজ বুঝে পাল্টে যাচ্ছে ব্রিগেড প্যারাড গ্রাউন্ডের (Brigade) সমীকরণ। কয়েকদিন আগেই এই মাঠেই লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে ভরে গিয়েছিল চত্বর। এবার সেই ব্রিগেডেই হতে চলেছে লক্ষ মানুষের হরিনাম সংকীর্তন, সাংবাদিক বৈঠকে বড় ঘোষণা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের।

হরিনাম সংকীর্তনের ডাক মতুয়াদের

জানা গিয়েছে, ব্রিগেডে এবার লক্ষ লক্ষ মানুষের গীতাপাঠের মতোই হরিনাম সংকীর্তনের ডাক দিতে চলেছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদ। এমনই ঘোষণা করলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসাই পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার। রিপোর্ট মোতাবেক আজ অর্থাৎ শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে থেকে মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসাই পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার এই কর্মসূচির ডাক দেন। যদিও তিনি এটিকে ‘অরাজনৈতিক’ বলে দাবি করেছেন। এবং তিনি বলেন, “আমরা অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চাই। লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম হবে। জানুয়ারিতেই দিন ঘোষণা করা হবে।”

সাংবাদিক বৈঠকে কী বলছেন নান্টু হালদার?

সাংবাদিক বৈঠকে আজ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসাই পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার হরিনাম কর্মসূচির আয়োজনের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন যে, “ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনকে মাথায় রেখেই এবার হরিনাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। হরিনাম শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকায় মতুয়াদের নাম রাখার আর্জি জানানো হবে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সিএএ-র ফর্ম ফিল-আপ করেও তাঁরা যে এখনও নাগরিকত্ব পাননি সেই নিয়েও প্রতিবাদ জানানো হবে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নিতে কোনো আলোচনা করা হয়নি। তবে গেরুয়া শিবির জানাচ্ছে হরিনামের আমন্ত্রণ পেলে তাঁরা অবশ্যই যাবেন।

আরও পড়ুন: নথি দিতেই হবে! SIR ফর্ম পূরণ না করা মমতাকে নিয়ে বলল কমিশন

প্রসঙ্গত, গত রবিবার ব্রিগেডে RSS এর ডাকে গীতাপাঠের কর্মসূচি করা হয়েছিল, সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি গতকাল কৃষ্ণনগরের সভা থেকে অনুষ্ঠানকে ‘ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই একই স্থানে আয়োজন করা হতে চলেছে হরিনাম সংকীর্তনের কর্মসূচি। এখন দেখার, মমতাবালা মতুয়াপন্থীরা হরিনাম সংকীর্তনে কাদের কাদের আমন্ত্রণ জানায়?

Leave a Comment