সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের বিরুদ্ধে এবার চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সহ শীর্ষ নেতারা (Nahid Islam on India)। নাহিদ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব সম্পূর্ণ বাংলাদেশের উপরে নির্ভরশীল। এমনকি ভারত বাংলাদেশকে ফিলিস্তান বানাতে চায়, আর তারা বাংলাদেশের উপর আশ্রয় নিচ্ছে। এই হুঁশিয়ারি সামনে আসতেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে যে আরও কোন্দল লেগেছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভারতের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি
বলে দিই, গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের মানচিত্র বিকৃত করার অভিযোগে ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদ ওসমান হাদিকে ঢাকায় গুলি করা হয়েছিল। আর সেখান থেকেই চড়াও হয় বিপ্লবী নেতারা। এমনকি কোনও কারণ ছাড়াই ভারত বিরোধী সুর গাইছে তারা। আর সেই তালিকায় নাম এবার লেখাল নাহিদ ইসলাম সহ এনসিপির নেতারা। আসন্ন নির্বাচনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাহিদ স্পষ্ট বলেছেন, ভারত সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ফিলিস্তান বানাতে চাইছে। ওসমান হাদির উপর তারা আক্রমণ করেছে, এবং এরকম চলতে থাকলে আমরা ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকেই আশ্রয় দেব।
এখানেই থেমে থাকেননি নাহিদ। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ভারত যদি আগের মতো বাংলাদেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে, তাহলে সেই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সম্পূর্ণ বাংলাদেশের উপরে নির্ভরশীল। তাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে। এমনকি এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ভারত যদি মনে করে যে হাসিনা এবং ওসমান হাদির ঘাতকদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, তাহলে সেই আশা সম্পূর্ণ ভুল।
“7 SISTERS WILL BE SNATCHED”
MEA MUST SEND A STERN MESSAGE.
Bangladeshi politicos issuing threats especially over territory. National Citizen Party (NCP) top leader Hasnat Abdullah warn India’s northeastern “7 Sisters” states would be isolated if Bangladesh is destabilised. pic.twitter.com/IEi7moXMBr— Rahul Shivshankar (@RShivshankar) December 16, 2025
বলে রাখি, হাসিনার বিদায়ের পরে একাধিক জনসভায় ওসমান হাদি স্লোগান তুলেছিলেন, দিল্লি নাকি ঢাকা…! তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে ওসমান ভারতের বিকৃত মানচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। এমনকি সেই মানচিত্রে ভারতের থেকে পাঞ্জাব, লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন দেখানো হয়েছিল। আর সেগুলোকে পাকিস্তানের এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গোটা ঝাড়খন্ড, উত্তর পূর্ব ভারত এবং মায়ানমারের আরাকান প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা বাংলাদেশের অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তবে সেই ভারত বিরোধী ওসমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথাই শোনা গেল এবার এনসিপি নেতাদের মুখে। এমনকি তারা এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, হাসিনা সহ বাংলাদেশের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি খুনিকে বাংলাদেশের কাছে স্থানান্তর করতে হবে।