BBL-র ডেবিউ ম্যাচে বিপত্তি, শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বল করতে দিলেন না আম্পায়ার!

Shaheen Afridi controversy regarding dangerous Bowling in BBL

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিগ ব্যাশ লিগে অভিষেক হওয়া মাত্রই দলের চিন্তা বাড়ালেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi Controversy)। ম্যাচ চলাকালীন বিপজ্জনক বোলিং করার অভিযোগে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ককে ওভার চলাকালীনই আটকে দিলেন আম্পায়াররা। তাতে বল করতে পারলেন না পাক তারকা। বিতর্কও বাড়ল পাকিস্তানের নামজাদা বোলারকে নিয়ে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ার টি টোয়েন্টি লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি। ব্রিসবেন হিটের হয়ে এই বিদেশি লিগে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। আর সেই অভিষেক ম্যাচেই ভয়ানক বোলিং দেখিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার। গতকাল অর্থাৎ সোমবার, মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন আফ্রিদি। সেখানেই মেলবোর্নের ইনিংস চলাকালীন 18তম ওভারে বিপজ্জনক বল করার অভিযোগ উঠেছে আফ্রিদির বিরুদ্ধে।

ক্রমাগত বোলিং করার পর ওভারের পঞ্চম বলটি ফুলটস করে বসেন পাক তারকা। আর সেই ফুল টাস বল গিয়ে সজোরে আঘাত করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান অলিভার পিকসের কোমরে। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা জিমি পিয়ারসনেরও ক্ষমতা হয়নি ওই বল ধরার। আর এই বলের পরই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা আফ্রিদিকে বল করতে বারণ করেন। এরপর আর বল হাতে প্রতিপক্ষের উইকেটে ছুটতে পারেননি তিনি।

কেন আফ্রিদিকে বল করতে দিলেন না আম্পায়াররা?

ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, পাকিস্তানের তারকা বোলার আফ্রিদি যেভাবে বল করছিলেন তা আদতেই বিপজ্জনক। মূলত সে কারণেই পরবর্তীতে আর শাহিনকে বল করতে দেননি ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা। জানা যায়, পরবর্তীতে আফ্রিদি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও আম্পায়াররা তাঁকে বল করার অনুমতি দেননি। বরং আফ্রিদি যাতে আর বল না করেন সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয় অধিনায়ক নাথান ম্যাকসুইনিকে।

অবশ্যই পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের পরই শুরু হচ্ছে IPL! ফাইনাল কবে? প্রকাশ্যে দিনক্ষণ

প্রসঙ্গত, বিগ ব্যাগব্যাশ লিগের অভিষেক ম্যাচে বিপদজনক বোলিং করার অভিযোগ উঠলেও এই ম্যাচে রান দিয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই খেলোয়াড়। দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে পাকিস্তানের তারকা বোলারের এমন অবস্থা দেখে একেবারে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা। সমাজ মাধ্যমেও নিজের কাজের জন্য ট্রোল হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাননি আফ্রিদি।

Leave a Comment