প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর কর্মসূচি নিয়েই চলেছে শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধীদল দলগুলি। এমতাবস্থায় একদিন যেখানে রাজ্য সরকার ব্যবসায়ীদের শিল্পের উন্নতি বাড়াতে নয়া পোর্টাল সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার বাস্তবায়ন নিয়ে ফের একবার রাজ্যকে তুলোধনা করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের শ্মশানভূমিকে।
পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-পরিস্থিতি নিয়ে সরব শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যোগ দিয়ে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পদ্যোগীদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে ধরলেন একাধিক পরিকল্পনা। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত বেনজির ভাবে এক যোগে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রিপোর্ট মোতাবেক আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজ্যের শিল্পব্যবস্থার দুর্গম অবস্থাকে তুলে ধরেন।
বঙ্গের শিল্প শ্মশানভূমি চিত্র তুলে ধরলেন শুভেন্দু
বৃহস্পতিবার, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন যে, “ বিগত ১৪ বছরেরও বেশী সময় ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনের পরিণতি আজকের শিল্পহীন ধুঁকতে থাকা পশ্চিমবঙ্গ। চুরি দুর্নীতি থেকে শুরু করে তৃণমূল সরকারের দৌলতে আজ রাজ্যের উপর ৭.৭১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা যা ভারতের সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গের এই আর্থিক বিনাশকে প্রতিহত করতে এখনই জেগে ওঠা জরুরী।” তাঁর দাবি রাজ্যের তিন পরিসরে ব্যাপক পতন ঘটেছে, আর সেই তিন পরিসর হল শিল্প, অর্থনৈতিক এবং শাসনব্যবস্থা। যেখানে ২০১১-১২ সালে রাজ্যের মোট ঋণ ২.০৭ লক্ষ টাকা ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে আজ নাকি তা ৩০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭১ লক্ষে।
আরও পড়ুন: বাড়ল চাকরির মেয়াদ, রাজ্য সরকার থেকে যোগ্য শিক্ষকদের সুখবর শোনাল সুপ্রিম কোর্ট
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে, ভারতের ইনডাস্ট্রিয়াল এন্টেপ্রেনার মেমোরান্ডা (IEM) ফাইলের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র যেখানে ২০ শতাংশ, গুজরাট ১৫-১৬ শতাংশ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের অবদান মাত্র ২-৩ শতাংশ। শুধু তাই নয় ভারতের বাস্তবায়িত শিল্প প্রকল্পগুলির মাত্র ১.৫ থেকে ৩.৪ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬৮৮টি কোম্পানি। যেখানে মহারাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছে ১৩০৮টি, দিল্লিতে ১২৯৭টি ও গুজরাটে ৪২৩টি কোম্পানি। এছাড়াও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পতন নিয়েও আলোচনা করেছেন। তাই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বাঁচাতে আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গে পেটে ভাত, মাথায় ছাদ, হাতে কাজ পেতে উন্নততর পশ্চিমবঙ্গ তৈরী করতে একটা রাষ্ট্রবাদী, সুশাসন এবং উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠিত করা জরুরী। বাঁচতে চাই – বিজেপি তাই।”
Alright, so I stumbled upon biabettelegram. Seems like a useful Telegram channel. If you’re into mention relevant topics based on assumption, e.g., sports betting tips, give it a look! biabettelegram