সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিক্ষোভের আগুনে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Violence)। হাদির মৃত্যুর পর পদ্মাপাড়ে রাতভর চলল ভাঙচুর, লুটের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে ওপার বাংলার প্রথম সারির দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এবং ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এর দফতরেও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় জনতাদের বিরুদ্ধে। এমনকি আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে বুলডোজার নামিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে সময় নিউজ টিভি সূত্রে খবর।
আগুন লাগানো হল সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে
গতকাল রাতে ‘প্রথম আলো’ এবং ‘দ্য ডেইলি স্টার’ সংবাদমাধ্যমের দফতরে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তবে রাত দু’টো নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সাংবাদিকদের উদ্ধার করা হলেও গোটা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে রিপোর্ট অনুযায়ী খবর। এমনকি ‘প্রথম আলো’ এর চারতলা ভবনটি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালবেলাও সেখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আর এহেন পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকেই দুই সংবাদপত্রের মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। তবে বেলা বাড়তে প্রথম আলোর তরফ থেকে জানানো হয়, বিগত রাতে আমাদের কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর আর অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয়েছে। তাই সকাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে অনলাইন পোর্টাল ও মুদ্রিত সংস্করণ। পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙতে বুলডোজার
এদিকে হাসিনা জামানার অবসানের পর একাধিক বার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে ফের ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি শুক্রবার সকালে কয়েকজনকে ইট দিয়ে বাড়ির দেওয়াল ভাঙতেও দেখা গিয়েছে । তবে রাত দেড়টা নাগাদ বুলডোজার নিয়ে এসে নগরীর কুমারপাড়ায় অবস্থিত আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করা হয়। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে দোতলা অফিস পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর আড়াইটার দিকে আরও একটি বুলডোজার নিয়ে এসে গোটা ভবন ভাঙা হয়। কার্যত বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতারা স্লোগানও দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: আরবে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, ৫৬ হাজার পাকিস্তানি ভিখারিকে ফেরত পাঠাল সৌদি সরকার!
এ বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলিও মুখ খুলেছে। খালেদা জিয়ার দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতীরা আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। দুষ্কৃতীদের নির্মম হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি নিহত হয়েছে। আর সেটাই তার বহিঃপ্রকাশ।