বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: 21 বছর পর ইতিহাস লেখার সুযোগ পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের নারী বাহিনী (East Bengal FC)। শেষবারের মতো, AFC চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই পেছনে হাঁটতে হয়েছিল লাল হলুদকে। একটা পর্যায়ে পৌঁছে সাফল্যের স্বপ্ন দেখেও শেষ পর্যন্ত সবকিছু হারাতে হয়েছিল মশাল কন্যাদের। তবে এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেয়নি ইস্টবেঙ্গল। সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্ধর্ষ লড়াই করে আজ অর্থাৎ শনিবার নেপালের দল এপিএফ এফসির বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে চলেছে মশাল ব্রিগেড। আর সেখানেই স্মৃতির পাতা উল্টে ইতিহাস লেখার সুযোগ থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।
ইতিহাস গড়ার পথে ইস্টবেঙ্গল
চলতি সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত ফুটবল দেখিয়ে অভিযোগ করার এক চুল জায়গাও ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল, প্রতিপক্ষকে একপ্রকার নাকানি চোবানি খাইয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী দলটি। সেই সূত্রেই ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে মশাল কন্যারা। না বললেই নয়, শেষবারের মতো 2004 সালে কাঠমান্ডুর মাটিতেই সান মিগুয়েল কাপ জিতে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
2004 এর সেই সাফল্যই ছিল ইস্টবেঙ্গলের শেষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ট্রফি জয়। এরপর 21টা বছর কাটিয়ে ফের সেই কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের হাতছানি ইস্টবেঙ্গলের নারীদের। এখন অপেক্ষা, সামনের পাথর ভেঙে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করা। লাল হলুদ ভক্তদের সিংহভাগেরই আশা, ফাজিলারা যেভাবে গ্রুপ পর্বে ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছেন নেপালের দলকে পরাস্ত করে ফাইনাল জেতাটাও তাদের কাছে খুব একটা কষ্টকর হবে না।
অবশ্যই পড়ুন: সমস্যায় পড়তে পারে KKR! IPL-এ কদিন খেলতে পারবেন না মুস্তাফিজুর? জানাল BCB
উল্লেখ্য, চলতি টুর্নামেন্টে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থেকেই ফাইনালে জায়গা করেছে ইস্টবেঙ্গল। সবচেয়ে বড় কথা, কোনও গোল হজম না করেই মোট 13টি গোল করেছে লাল হলুদের মহিলা দল। সেইসব সুন্দর স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই আজ লড়াইয়ে নামতে চলেছে মশাল ব্রিগেড। আর তার আগেই ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলের কোচ অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজ প্রতিপক্ষকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “নেপালের এপিএফ এফসি যথেষ্ট শক্তিশালী দল। সেই দলের বহু ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছে। তাছাড়া ঘরের মাঠের একটা সুবিধা ওরা পাবেই। তবে আমরাও ইতিহাস লিখতে মরিয়া।”