সহেলি মিত্র, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু যুবক দীপু দাস হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত সমগ্র বিশ্ব। এই ঘটনায় বিক্ষোভের আঁচ একদিকে যেমন ওপার বাংলায় পড়েছে তেমনই বাদ যায়নি বাংলাও। যাইহোক, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভ ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা গোটা বিশ্বের সামনে যে প্রকাশ পেয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার শাসনকালে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় সেটা বারেবারে প্রমাণিত হচ্ছে। দীপু চন্দ্র দাসের ভয়াবহ হত্যার পর, এবার সেখানে আক্রান্ত হলেন আরও হিন্দু, যিনি কিনা পেশায় একজন রিকশাচালক। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। তাঁর ‘দোষ’ হাতে লাল সুতো ছিল ব্যস।
আবারও বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দু রিকশা চালক
বাংলাদেশে চলমান হিংসার মাঝেই আরেকটি ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে, যেখানে ঝিনাইদহের একজন রিকশা চালককে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি ঝিনাইদহ জেলায় ঘটেছে বলে জানা গেছে, যেখানে রিকশা চালক গোবিন্দ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তার হাতে পবিত্র লাল সুতো দেখে কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বলে খবর। জানা গেছে যে অনেকেই কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাকে RAW এজেন্ট বলে অভিযোগ করতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ মরুভূমি হতে পারে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা! ধ্বংস হবে আরাবল্লী পর্বত? বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
এরপর দ্রুত একটি জনতার ভিড় তাকে ঘিরে জড়ো হয় এবং কোনও উস্কানি ছাড়াই তাকে মারধর করতে শুরু করে। গোবিন্দের অবস্থা দেখানো পুরো ঘটনার একটি ভিডিওও প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে সঙ্গে সঙ্গে খবির দেওয়া হয় পুলিশকে। অভিযোগ, গোবিন্দ প্রায় আধমরা অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে গোবিন্দ পুলিশ সদস্যের সাথে হাঁটছে। তাঁর মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি Indiahood.in
Gobinda Biswas—a rickshaw puller. A red thread on his wrist was enough for extremists to brand him an “RAW agent.” He kept saying he was just a rickshaw puller, but no one listened.
The young man from Jhenaidah was brutally assaulted and left critically injured—his survival… pic.twitter.com/9qvDNgl7FA— Sahidul Hasan Khokon (@SahidulKhokonbd) December 20, 2025
হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় আটক ১০
উল্লেখ্য, গোবিন্দের আগে, দীপু দাস একই ধরণের উত্তেজিত জনতার হাতে পড়ে ভয়াবহ মৃত্যুর মুখোমুখি হন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং তারপর তার দেহ গাছে বেঁধে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এসবের পরেও ইউনূসের শাসনকালে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ।