সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি ওপার বাংলার (Bangladesh Violence)। দিনের পর দিন বিদ্বেষ যেন আরও বেড়ে চলেছে। অশান্তির আশঙ্কা এখনও কাটেনি। হ্যাঁ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্য নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুতে কার্যত তোলপাড় গোটা বাংলাদেশ। গতকাল অর্থাৎ শনিবার তাঁর মরদেহ কবরস্থ করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই। তবে এবার দেশজুড়ে অশান্তি এবং বিক্ষোভের আবহে বাংলাদেশের সিলেটে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
নিরাপত্তা বাড়ল ভারতীয় ভিসাকেন্দ্রের
সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের সিলেটে ভারতের হাই কমিশনের দফতর এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র এবং হাই কমিশনগুলোর নিরাপত্তায় বাড়িয়েছে। হ্যাঁ, সম্প্রতি জুলাই ঐক্য এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর বিক্ষোভ আর নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকার কারণেই সিলেট ও রাজশাহীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু দিল্লি নিরাপত্তার কারণে ঢাকা এবং অন্যান্য স্থানের কিছু ভিসা কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম শনিবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনওরকম তৃতীয় পক্ষ যাতে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অশান্তি ছড়াতে না পারে, সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে সিলেটে ভারতীয় উপদূতাবাসের পাশাপাশি সহকারী হাই কমিশনারের বাসভবন এবং শোভনীঘাট এলাকায় অবস্থিত ভিসাকেন্দ্রের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: মরুভূমি হতে পারে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা! ধ্বংস হবে আরাবল্লী পর্বত? বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় গোটা বাংলাদেশ। বিভিন্ন সরকারি ভবন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, এমনকি সংবাদপত্রের অফিসে আগুন লাগানো হয় ও ভাঙচুর চালানো হয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশের প্রথম সারির দুই সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ এবং ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এর দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের জাতীয় ভবনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে নিহত নেতা হাদির। তবে তাঁকে হত্যা করা দোষীদের গ্রেফতার করা হবে বলে ইউনূস সরকারকে ইনকিলাব মঞ্চ ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। সময়সীমার মধ্যে কোনও উত্তর না দিতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়েছে বলে খবর।