বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র তথা কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান হাদির খুনের ঘটনায় অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। কট্টরপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সংখ্যালঘু হিন্দুরাও। এমতাবস্থায় এবার, হাদির মৃত্যুর নেপথ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগ থাকতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিলেন ওপার বাংলার প্রতিবাদী সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। তাঁর কথায়, “এই ঘটনার সাথে সরকারের যোগ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় ইউনূস যোগ খুঁজছেন তাসলিমা?
ওপার বাংলার ছাত্র নেতা খুনের ঘটনায় দুপারেই বেড়েছে আলোচনা। হাদির মৃত্যুর নেপথ্যে অনেকে জামাত শিবিরকে দায়ী করছেন। কেউ কেউ বলছেন, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের মদতেই জামাতরা বাংলাদেশের ছাত্র নেতাকে খুন করিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, হাদির খুনিরা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে বলে ভারতযোগ দেখিয়ে সকলকে অন্য পথে চালনা করতে চাইছে দুর্বৃত্তরা। এবার সেসব নিয়েই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল একটি বিস্ফোরক পোস্ট করলেন ওপার বাংলার প্রতিবাদী কন্ঠ তাসলিমা নাসরিন।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে প্রতিবাদী লেখিকা তাসলিমা জানান, “কয়েক ঘন্টা ধরে জিহাদিরা ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, ছায়ানট এবং উদিচীর কার্যালয় লুঠ করেছে, ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ আসেনি। মনে হচ্ছে গোটা ব্যাপারটাই করিয়েছে সরকার। পুলিশ সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পায়নি বলেই কর্মস্থল ত্যাগ করেনি।”
এদিন বাংলাদেশের প্রতিবাদী সাহিত্যিক আরও লেখেন, “দীপু কাণ্ডেও ভিকটিমের মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। সময়মতো পুলিশকে আসতে বাধা দেয় কারা? হয়তো তারাই যারা পুলিশকে নির্দেশ দেয় এবং বলে দেয় নির্দেশ ছাড়া কোথাও, বিশেষ করে সেনসিটিভ কেসে আচমকা উদয় না হতে!” এমন বক্তব্যের পর তাসলিমা একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ করে লেখেন, “হাদির সম্ভাব্য আততায়ী ফয়সালের অ্যাকাউন্টে 125 কোটি টাকার লেনদেন পাওয়া গিয়েছে। টাকাটা কে দিল? সরকারের অদৃশ্য হাত নয় তো?”

অবশ্যই পড়ুন: বিরাট কোহলির বেতনের ৪ গুণের বেশি, ভারতে আসতে মেসি কত টাকা নিয়েছে জানেন?
প্রসঙ্গত, তাসলিমার এই পোস্টের আগে এবং পরে বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। হাদির মৃত্যুর পর ওপার বাংলায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হলেও আশানুরূপ কোনপ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ পুলিশকে। তাঁদের একপ্রকার নিষ্ক্রিয় অবস্থানে বারবার সামনে এসেছে। এ নিয়ে ওপার বাংলার বহু বিদ্যজনের দাবি, “হাদির মৃত্যুতে পুলিশের হাত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত। সবাই বলছে তাঁর খুনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গিয়েছে। এই তথ্য কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। অনেক সময় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই ধরনের ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে।”