বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় চালকলের কাজ। তারপরই সংসার চালাতে বর্ধমানে একটি চায়ের দোকান খুলে বসেন গিন্নি। পাশে থেকে তাঁকে সাহায্য করেন কর্তাও। এবার সেই দম্পতির ভাগ্য ফেরালো 90 টাকা দিয়ে কাটা এক লটারির টিকিট (Bardhaman Lottery Winner)। জানা গিয়েছে, প্রথমবারের জন্য ভাগ্য পরখ করে দেখতে ওই ডিয়ার লটারির টিকিটটি কেটেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের উচালনের বাসিন্দা জলি বিষয়ী। রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেল, প্রথম টিকিটেই কোটি টাকা জিতলেন তিনি।
কোটিপতি হয়েছেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না জলি
পূর্ব বর্ধমানে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে চারজনের পেট। বাড়িতে স্বামী টুলু এবং দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার জলি দেবীর। জানা যায়, কিছু বছর আগেই ওড়িশা থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন এই দম্পতি। শুরুর দিকে চালকলে শ্রমিকের কাজ করতেন তারা। তবে হঠাৎ সেই কাজ বন্ধ হয়ে গেলে সংসার চালাতে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান খুলে বসেন জলি দেবী। সেখানেই তাঁকে সঙ্গ দিতেন স্বামী টুলুও।
বাড়িতে এক ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র। অন্যজন পড়েন প্রথম শ্রেণীতে। সব মিলিয়ে একেবারে টানটান অবস্থা। তাই অভাব দূর করতে প্রায়শই লটারি কাটতেন বাড়ির কর্তা টুলু। কিন্তু কোনদিনও ভাগ্য তাঁর দিকে ফিরেও তাকায়নি। তবে প্রথম টিকিটেই স্ত্রী যে জ্যাকপট বাঁধিয়ে ফেলবেন সে কথা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি টুলু। 90 টাকা দিয়ে ডিয়ার লটারির এক টিকিটেই কোটি টাকা জিতেছেন একথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না জলি।
অবশ্যই পড়ুন: মমতার নির্দেশেই কাজ, গঙ্গাসাগরে রাস্তা সংস্কারে জোর নবান্নর
ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে পূর্ব বর্ধমানের লটারি বিজেতা জানালেন, “প্রথমবারের মতো লটারি কেটেছিলাম। এভাবে যে কপাল ফিরবে কখনও ভাবিনি। স্বামী আমার প্রায়শই লটারি কাটতো। সেদিন কী যেন মনে হল নিজেই একটা লটারি কেটে বাড়ি ফিরেলাম। তারপরেই কোটিপতি! এ যেন বিশ্বাসই করতে পারছি না!” এই অর্থ দিয়ে কী করবেন জানতে চাইলে স্বামী স্ত্রীর একই কথা, “এখনই এই অর্থ দিয়ে কী কী করবো তা ভেবে উঠতে পারিনি। তবে নিজেদের একটা বাড়ি করার ইচ্ছে আছে। কতদিন আর ভাঙা ঘরে থাকবো?”