জানুয়ারির প্রথমেই মহার্ঘ ভাতার রায়? ‘মমতার না হলেও এদের জেল হবে!’ বিস্ফোরক কর্মীদের নেতা

Dearness allowance DA Case Bengal

সহেলি মিত্র, কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ (Dearness allowance) প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা। তার ওপর সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের DA নিয়ে নতুন মন্তব্য সকলের সেই ক্ষোভ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে যেন। এক শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।’ সংবিধান মেনে শপথ নেওয়া একজন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে শিল্প সম্মেলনে গিয়ে এরকম আজেবাজে কথা বলতে পারেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মচারী সংগঠন। এসবের মধ্যে ফের একবার ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে মুখ খুললেন সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukherjee)। চলুন জেনে নেবেন তিনি কী বলেছেন।

সরকারকে ফের তুলোধনা করলেন মলয় মুখোপাধ্যায়

পঞ্চম বেতন পে কমিশনের আওতায় ঝুলে থাকা বাংলার ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায়দান কবে করবে সুপ্রিম কোর্ট? এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় দিন গুনছেন সরকারি কর্মীরা। এদিকে গত ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে ভেবেছিলেন সকলে। তবে সে গুড়ে বালি। হল না শুনানি। অর্থাৎ আর এই বছর হবেও না শুনানি, অপেক্ষা করতে হবে নতুন বছর ২০২৬ সালের। তাহলে কি ২০২৬ সালের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই মামলার শুনানি করতে পারেন বিচারপতিরা?

আরও পড়ুনঃ চাকরির ১০ বছরের আগেই PF এর সমস্ত অর্থ তুলে নিলেও পাওয়া যাবে পেনশন? জানুন

মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘দীর্ঘ শীতকালীন ছুটির পর আগামী ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট খুলছে। আমরা অনুমান করতে পারি সেই সময়ে শুনানি হওয়ার। এতে যদি কর্মচারী সমাজ রেগে যায় বা হতাশায় ডুবে যায় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। যদি ডিএ নিয়ে বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে কি শীর্ষ আদালত বলত ৫০% ডিএ দিয়ে দিক? মমতা বন্দোপাধ্যায় কি সংবিধানের ওপরে? আইনের ওপরে? তিনি যা বলবেন তা মেনে নিতে হবে?’

জানুয়ারি মাসেই ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি হচ্ছে?

মলয় মুখোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘ডিএ মামলায় একটু উঁচনিচ হলে মুখ্যমন্ত্রী হয়তো বেঁচে যাবেন কিন্তু রাজ্যের অর্থসচিব, মুখ্যসচিবের জেল, জরিমানা অবধি হতে পারে।’ তাঁর বক্তব্য, ‘ডিএ মামলার রায় আজ না হয় কাল বেরোবেই, আর সকল কর্মচারীদের এটাই বলার মামলার রায় আমাদের পক্ষেই যাবে। ট্রাইব্যুনালে দুবার, উচ্চ আদালতে চারবার জিতেছি কিন্তু আমরাই। সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে ডিএ মামলার সার্বিক শুনানি শেষ হয়েছে। যাইহোক, আমরা অশা করছি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলার রায়দান হতে পারে, কারণ আমরা মনে করছি এখনো অবধি সম্পূর্ণ রায়টা লিখিত হয়নি তাই দেরি হচ্ছে।’

Leave a Comment