স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে গ্রাইন্ডারে দেহ টুকরো করে গঙ্গায় ভাসাল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক!

Uttar Pradesh Murder

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের যোগীরাজ্যে এক নৃশংস ঘটনা। প্রেমিক এবং স্ত্রী মিলেই খুন করল যুবককে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাতুড়ি আর লোহার রড দিয়ে মেরে খুন করা হয় তাঁকে (Uttar Pradesh Murder)। তারপর কাঠ টুকরো করার গ্রাইন্ডার মেশিন নিয়ে এসে টুকরো টুকরো করে সেই দেহাংশ নালা এবং গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি মুণ্ডুহীন ওই দেহ পুলিশের হাতে আসতেই প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা, যা নিয়ে গোটা এলাকায় চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলা এবং প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি কী?

আসলে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল ওই যুবক। সেই কারণেই তাঁকে সরিয়ে ফেলার জন্য ফন্দি আঁটে প্রেমিক এবং স্ত্রী। সে মতোই ঘুমন্ত অবস্থায় হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে খুন করে তারা। তারপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য একটি গ্রাইন্ডার মেশিন এনে তার সাহায্যে দেহগুলিকে টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, রুবি নামের ওই মহিলা নিজেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তাঁর স্বামী নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা চন্দৌসি এলাকার চুন্নি মহল্লার বাসিন্দা।

এদিকে তার ঠিক এক মাসের মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর ইদগা এলাকার একটি নালা থাকে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এমনকি তার মাথা, হাত-পা ছিল না। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহাংশ উদ্ধার করা হয় এবং সেটিকে ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়। তবে সেখানে দেখা যায়, দেহাংশের একটি জায়গায় ‘রাহুল’ নাম লেখা রয়েছে। সেটি শনাক্ত করার জন্য আশেপাশের এলাকায় রাহুল নামের কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে কিনা তা খোঁজ করা হয়। কিন্তু জানা যায়, রুবি নামের যে মহিলা তাঁর স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর নাম রাহুল।

আরও পড়ুন: বদলে গেল বালুরঘাট-কলকাতা তেভাগা এক্সপ্রেস, দীর্ঘদিনের দাবি পূর্ণ করল রেল

এরপরেই ওই যুবকের ফোন নম্বর জোগাড় করে পুলিশ। কিন্তু তাঁকে ফোন করলে জানা যায় গত ২৮ নভেম্বর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ। সেই সূত্র ধরে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এমনকি প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয় স্ত্রীর উপরেই। সেই সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রুবি খুনের ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার বয়ানের ভিত্তিতে গৌরব নামে তার প্রেমিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে রাহুলকে হাতুড়ি আর লোহার রড পিটিয়ে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে হাত, মাথা আর পা ভেঙে নালায় দেওয়া হয় যাতে দেহটিকে কেউ শনাক্ত না করতে পারে। তবে ওই ‘রাহুল’ নাম থেকেই অভিযুক্তের হদিস পায় পুলিশ।

Leave a Comment