সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে দিনের পর দিন অশান্তি যেন বেড়েই চলেছে। তার মধ্যেই গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে বহু ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়া। কারণ, প্রতিবেশী দেশে তৈরি হওয়া ভারত বিরোধী আবহ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবার অল ইন্ডিয়া মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Students in Bangladesh)। পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর জরুরী হস্তক্ষেপের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠন।
পড়ুয়াদের কাছ থেকে আসছে আতঙ্কজনক বার্তা
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়ারা এবং তাদের পরিবারের কাছ থেকে একের পর এক উদ্বেগজনক বার্তা আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু পড়ুয়াকে অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি AIMSA এর মতে, শুধু পড়ুয়া নয়, বরং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তাদের পরিবারের মধ্যেও ভয় আর মানসিক চাপ কাজ করছে।
ওই চিঠিতে সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছে, বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা এই বিশ্বাস নিয়েই যায় যে, কোনও রকম সংকটের সময় ভারত সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হচ্ছে তিনি যেন বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই দেখেন এবং পদক্ষেপ নেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংগঠন আবেদন জানিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আর ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস এবং অন্যান্য মিশনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সহায়তা জোরদার করতে। পাশাপাশি পড়ুয়া এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেও আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ! হুলুস্থুল কাণ্ড হাওড়ায়, পলাতক অভিযুক্ত
হাদির মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা
আসলে গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছিল। তবে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ১৮ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন। আর সেই ঘটনার পর ঢাকায় নতুন করে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনকি পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইউনূসের নেতৃত্বে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই কারণে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে AIMSA। এমনকি সংগঠন দাবি করছে, বিষয়টি জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিতে। নাহলে ভয়াবহ হতে পারে।