বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিক্রি করে দেওয়া হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা। সেই মতোই, নির্ধারিত সূচি মেনে মঙ্গলবার নিলামে উঠেছিল PIA (Pakistan International Airlines)। সেখানেই পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থার দাম ওঠে 4,320 কোটি টাকায় (ভারতীয় মুদ্রায়)। আর এই দাম দিয়েই পাক বিমান সংস্থা কিনে নিল অর্থ বিনিয়োগকারী কোম্পানি আরিফ হাবিব। তবে, এই সংস্থা ছাড়াও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কিনতে বিড করেছিল অন্যান্য একাধিক বিদেশি সংস্থাও।
PIA র পুরো মালিকানা পায়নি আরিফ হাবিব?
মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে গড়িয়েছিল নিলাম। সেখানেই একেবারে চূড়ান্ত পর্বে বিপুল টাকায় লড়াই চলে লাকি সিমেন্ট এবং আরিফ হাবিব সংস্থার। তারপরই 4320 কোটি টাকায় পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা কিনে নেয় হাবিব। তবে জানা গিয়েছে, পাক বিমান সংস্থার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করলেও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পুরো মালিকানা পাচ্ছে না আরিফ হাবিব।
একাধিক পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থার 75 শতাংশের অংশীদারি হচ্ছে আরিফ হাবিব। তবে বাকি 25 শতাংশও কিনতে হবে তাদেরই। এর জন্য অবশ্য 90 দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের 75 শতাংশ অংশীদারী বিক্রির বিনিময়ে যে টাকা উঠলো সেই অর্থের 92.5 শতাংশ PIA এর মানোন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাকি অংশ যাবে পাকিস্তান সরকারের কোষাগারে।
ঠিক কোন কারণে জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করল পাকিস্তান?
বিগত দিনগুলিতে চরম আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। যার কারণে বারবার আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের দরজায় হাজির হতে হচ্ছে পাক সরকারকে। তবে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য না করার পরামর্শ বারবার দিয়ে এসেছে ভারত। তবে সেইসব পরামর্শ বা উপদেশ উপেক্ষা করেই ইসলামাবাদকে আর্থিক সাহায্য করেছে IMF। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। নতুন করে পাকিস্তান সরকারকে ঋণ দেওয়ার জন্য শর্ত বেঁধে দেয় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।
অবশ্যই পড়ুন: নবান্নের চেষ্টার পরেও আটকে পেনশন! রাজ্য সরকারের পুরনো নিয়মই হল কাল
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য শর্ত মতোই জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল শেহবাজ শরীফের সরকার। যদিও প্রাথমিকভাবে এই বিমান সংস্থা কেনার কথা ছিল পাক সেনার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফৌজি ফাউন্ডেশনের। তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে নিলামে অংশ নেয়নি তারা।
অবশ্যই পড়ুন: ফের রোহিত, বিরাটকে পেছনে ফেললেন বৈভব সূর্যবংশী
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থার নিলামে আরিফ হাবিব ছাড়াও পাকিস্তানের লাকি সিমেন্ট এবং বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ারব্লুও অংশ নিয়েছিল নিলামের একেবারে প্রাথমিক পর্বে গোপন ব্যালটে প্রস্তাবিত দাম জানিয়েছিল তিন সংস্থাই। তবে শেষ পর্যন্ত লাকি সিমেন্টের সাথে লড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কিনে নিল আরিফ হাবিব।