‘সবকিছু ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি, আমি পালানোর লোক নই’ বললেন শুভেন্দু অধিকারী

Suvendu Adhikari

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন রকম কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। লখনউয়ে অটল স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উপস্থিত ছিলেন। তবে একই সঙ্গে কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গ বিজেপির স্মরণ সভা। আর সেখানে দলের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন, যা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

এদিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেছেন, বিজেপিতে আসা নেতাদের মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। কেউ আসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য, কেউ জেরা-হারার অংক কষে, আর কেউ আসে সবে পদ ছেড়ে। আর আমি সেই তৃতীয় দলে পড়ছি। এরপর তিনি দাবি করেছেন, আমি পাঁচটি দফতরের দায়িত্ব ছেড়ে, তিনটি বড় বড় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েই বিজেপিতে যোগদান করেছি। অনেকেই পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী পালানোর লোক নয়।

এদিকে শুভেন্দুর বক্তব্যের পর রাজ্যের বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমি আশাবাদী, তিনি অতীতের প্রসঙ্গ আর কোনওভাবেই টানবেন না। কারণ, তিনি বিজেপির সঙ্গে এখন সম্পূর্ণভাবেই যুক্ত। এদিকে বিজেপির এই বক্তব্যর পাল্টা সুর চড়াতে ছাড়েনি তৃণমূল দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন, জেলের ভয়ে উনি দল ছেড়েছেন। নারদা কাণ্ড নিয়ে উনি নিজেই বলেছেন যে, ভিডিও ছাড়া আর কোনও প্রমাণ নেই। উনি জানেন, দল ছাড়লে কী হতে পারে।

আরও পড়ুন: বদলানো যাবে Gmail-র নাম! নতুন ফিচার্স আনার পথে গুগল

অরূপ চক্রবর্তী আরও বলেছেন, ‘সকলের মেরুদণ্ড একরকম হয় না। যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে, তাঁদের নামই শুভেন্দু অধিকারী। আর যারা করেন না, তাঁদের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচন এবং এসআইআর কর্মসূচির প্রেক্ষিতে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন শমিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, কে কোন পদে রয়েছে তা বড় কথা নয়। মনে রাখবেন, এসআইআআর মানেই বিজেপি আর বিজেপি মানেই এসআইআর। কমিটি, পদ, টিকিট সব কিছুই ভুলে যান। যে বসে আছে তাঁকে টেনে লড়াইয়ে নামান। না পারলে অন্যকে দায়িত্ব দিন। নাহলে দলকে দাঁড় করানো যাবে না।

Leave a Comment